নেশাগ্রহস্ত বাবার লালসার শিকার হলো কিশোরী মেয়ে

নেশাগ্রহস্ত বাবার লালসার শিকার হলো কিশোরী মেয়ে

নেশাগ্রহস্ত বাবার লালসার শিকার হয়েছে তার কিশোরী মেয়েটি। মেয়েটি নবম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা যায়। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুরে। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কুলিক বনাঞ্চল সংলগ্ন বাহিন পঞ্চায়েতের সুহারই এলাকার ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ দিয়েছে,  মদের নেশায় নিজের কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। কিশোরির মা বাধা দিতে গেলে স্বামীর হাতে আক্রান্ত হন । ইতিমধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ব্যক্তি। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবার জানান ,

শনিবার গভীর রাতে কাজ সেরে নেশাগ্রহস্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন রামচন্দ্র মাহাতো নামে ওই ব্যক্তি। সেই সময় ঘরে ঘুমিয়ে ছিল ওই ব্যক্তির নাবালিকা মেয়েটি। অভিযোগ দিয়েছেন, নেশায় মাতাল হয়ে ঘরে ঢুকেই হঠাৎ ঘুমন্ত মেয়েকে জড়িয়ে ধরে মাহাতো।বাবা হয়ে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। ঘুম ভেঙে বাবার আচরণ দেখে ভয়ে চিৎকার শুরু করেন মেয়েটি। মেয়ের চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে ছুটে আসেন অভিযুক্তের স্ত্রী। স্বামীর আচরণ দেখে হতভাগ হয়ে যান তিনি। স্বামীকে বাধা দেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টাও করেন তিনি। কিন্তু সেই সময় স্ত্রীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মাহাতো। লাঠি দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে সে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে শুয়ে পড়েন স্ত্রী। শব্দ পেয়ে পাশের ঘর থেকে ছুটে আসেন স্ত্রীর বাবা। জামাইকে সামলানোর চেষ্টা করেন তিনিও। শশুর বাধা দিলে শশুরকেও আক্রমণ করেন । এরপর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় প্রতিবেশীরা। স্থানীয়রা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন গৃহবধূ ও তাঁর বাবাকে। চিকিৎসাধীন আছেন নাবালিকাও। 

জানা গেছে, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত রামচন্দ্র মাহাতোর বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে শনিবার রাত থেকেই পলাতক অভিযুক্ত রামচন্দ্র।