প্রকাশিত: 26/11/2019
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ইলামেরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ভূমিদাতা ও অভিভাবক সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। কমিটির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলেও তারা কেউ জানে না। ফরম বিতরণের শেষ দিনে অফিস কক্ষে তালা দিয়ে প্রধান শিক্ষক উধাও হয়ে যান। তাই স্কুল থেকে ফরম নিতে যাওয়া লোকজন অপেক্ষা করে ক্ষোব্ধ হয়ে ওঠেন। কোন অভিভাবককে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক নিজের পছন্দের লোক নিয়ে স্কুলের ওই নির্বাচন অনেকটা ঘোপনে করার পায়তারা করছেন বলে এমন অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ভূমিদাতা ও অভিভাবক সদস্যরা। স্কুলের সহকারি শিক্ষকদের সাথেও তার কোন মনমিল নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনী রহস্যজনকভাবে ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তির নামও অন্তরভুক্ত করা হয়েছে। জানাযায়, বর্তমানে অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে ওই স্কুল পরিচালনা করা হচ্ছে। তাই গত ২১নভেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক নিজের পছন্দের লোকজন নিয়ে আগামি ১০ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। আর ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহিরা ২৪, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন বলে তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ফরম বাচাই ২৭নভেম্বর ও প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৮নভেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার ফরম সংগ্রহ ও জমা দেয়ার শেষ দিন হলেও প্রধান শিক্ষক তার অফিস কক্ষে তালা দিয়ে চলে যান বিশ^নাথ উপজেলা সদরে। কিন্তু স্কুলের এই নির্বাচন অথবা ফরম বিতরণের খবর জানেন না ভোটার ও অভিভাকরা। হঠাৎ করে সোমবার রাতে স্কুলের নির্বাচনের ফরম বিতরণ ও তফসিল ঘোষণার কথা জনাতে পারেন সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জালাল উদ্দিন, ভূমি দাতা আলী হোসেন, আইয়ব আলী, অভিভাবক সদস্য ইসলাম উদ্দিন, শেখ আজিজ মিয়া, মখলিছ আলী, সাজ্জাদ আলীম ইউনুস আলী, আছাব আলী ও সঞ্জব আলী। এমন খবরে ফরম সংগ্রহ করতে গতকাল মঙ্গলবার তারা স্কুলে গিয়ে দেখতে পান প্রধান শিক্ষক তার অফিস কক্ষে তালা দিয়ে উধাও রয়েছেন। তাদের উপস্থিতি জানতে পেরে দুপুর ২টায় প্রধান শিক্ষক স্কুলে গিয়ে ক্ষোব্ধ অভিভাবকদের সম্মুখিন হন। ফরম পুরণ ও জমা দেয়ার সময় কমে আসলে অনেকটা ছাপে পড়ে নিজের স্কুলের শিক্ষক দিয়ে তাদের ফরম পুরণ করান প্রধান শিক্ষক। তবে ওই নির্বাচন বাতিলের দাবি জানান উপস্থিত প্রতিষ্টাতা সদস্য, ভূমিদাতা ও অভিভাবক সদস্যরা। এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নিরেন্দ্র চন্দ্র দাস তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, তিনি ইউএনও খবর দিলে উপজেলা সদরে যান। মোবাইল ফোনে জানতে ইউএনও বর্ণালী পাল জানান তিনি একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন।