বড়শলুয়া গ্রামের শহিদ বিশ্বাস এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে

বড়শলুয়া গ্রামের শহিদ বিশ্বাস এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে

নিশ্চিত খুনের হাত থেকে রক্ষা পেলেও এলোপাথাড়ী কোপানোর ফলে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে যুবক শহিদ বিশ্বাস। তিনি এখন যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপানোর ফলে তার মাথায় রক্ত জমে ব্রেইন ষ্ট্রোক করেছে। মাথার মধ্যে থাকা ক্ষুদ্রতিক্ষুদ্র শিরাগুলো ছিড়ে গেছে। ডাক্তাররা তাকে ঢাকায় যেতে বলেছেন।

কিন্তু হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান শহিদ বিশ্বাসের উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার সামর্খ নেই। শহিদ বিশ্বাস যখন মৃত্যুর সাথে লড়ছে, তখন তার উপর হামলাকারীরা আলালত থেকে জামিন হয়ে বেরিয়ে এসেছে।

ঘটনাটি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামের। গত ২ অক্টোবর জাহিদ বিশ্বাস নিজ বাড়িতে বসে চা বানাচ্ছিলেন। এ সময় একই গ্রামের আসমানের ছেলে জামাল,

জালালের ছেলে বরকত, আতিয়ার রহমান ও তার দুই ছেলে মহিদুল এবং মিরাজুল শহিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যখম করে। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে

চয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শহিদের পিতা আসাদ বিশ্বাস বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে।

১০ দিন জেল খেটে বেরিয়ে আসে আসামী। এদিকে শাহিদ বিশ্বাস হাসপাতাল থেকে বাড়ি এসে ব্রেইন ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হন। চলে যান গভীর কোমায়। তড়িঘড়ি করে তাকে যশোর ইবনে

সিনা হাসপাতালের আইসিইউতি ভর্তি করা হয়। শহিদের পিতা আসাদ বিশ্বাস জানান, মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার ছেলে ব্রেইন ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছ। চিকিৎসকরা বলেছেন, আঘাতজনিত কারণেই শহিদ এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষনে।

আরও পড়ুন

×