আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে বিআইডব্লিউটিএ‘র নতুন জেটি স্থাপনে পুনর্বাসন মার্কেট উচ্ছেদ প্রতিহত করবে ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: 30/11/2019

তাইফুর রহমান তারেক

আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে বিআইডব্লিউটিএ‘র নতুন জেটি স্থাপনে পুনর্বাসন মার্কেট উচ্ছেদ প্রতিহত করবে ব্যবসায়ীরা

আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে বিআইডব্লিউটিএ‘র  নতুন জেটি নির্মাণ করতে গিয়ে ফেরীঘাট পুনর্বাসন মার্কেট উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত যথাযথ ও ন্যায় সঙ্গত নয় বলে দাবি করছে বন্দর এলাকার ব্যবসায়ীরা। এতে করে প্রায় চার শত পুনর্বাসন ভিটে মালিক,

ব্যাবসায়ী ও শ্রমিকসহ দশ সহ¯্রাধিক কর্মজীবী মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে উল্লেখ করে ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে বন্দর এলাকার পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হবার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৈরি প্রভাব পড়বে।

অথচ বিআইডব্লিউটিএ‘র  নতুন জেটি স্থাপনের জন্য বন্দর এলাকায়ই পর্যাপ্ত বিকল্প জায়গা রয়েছে। তাই যে কোন মূল্যে এ সিদ্ধান্ত প্রতিহত করে ফেরীঘাট পুনর্বাসন মার্কেট রক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার সকালে আশুগঞ্জ ফেরীঘাট পুনর্বাসন মার্কেট ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসা রক্ষা কমিটির উদ্যোগে স্থানীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বন্দর এলাকার ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশুগঞ্জ ফেরীঘাট পুনর্বাসন মার্কেট ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসা রক্ষা কমিটির আহবায়ক মো.রফিকুল ইসলাম।  সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, পুনর্বাসন মার্কেট ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসা রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব মো.সায়েদুর রহমান,

চরচারতলা ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন খন্দকার, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব খান, শহর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন ইপটি, পুনর্বাসন মার্কেটের ব্যবসায়ী ও উপজেলা সুজনের সভাপতি মিজানুর রহমান, রক্ষা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মো.জাকির হেসেন,

পুনর্বাসন মার্কেটের ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুর রহমান, জেলা সার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বকুল, ফেরীঘাট পরিবহন ঠিকাদার সমবায় সমিতির সভাপতি মো.ইব্রাহিম মোল্লা, চরচারতলা ইসলামীয়া আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. মহিউদ্দিন মোল্লা,

যুবলীগ নেতা মোশারফ মুন্সী, শহর শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদ মো.আব্দুল হাশিম, পরিচালক মজিবুর রহমান সরকার, পুনর্বাসন মার্কেটের ব্যবসায়ী মো.আলমগীর খান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন,আশুগঞ্জ বন্দর একটি আন্তর্জাতিক নৌবন্দর। এখানে প্রতিদিন শতশত ব্যবসায়ী ব্যবসা করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। বন্দর এলাকায় বিকল্প পর্যাপ্ত জায়গা থাকার পরও বিআইডব্লিউটিএ‘র এমন সিদ্ধান্ত বাস্তব সম্মত নয়।

কোন অবস্থাতেই আমরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নেব না। তারা বলেন, বন্দর সম্প্রসারণ করতে আমাদের কোন  বাধা নেই। নতুন জেটির জন্য মাত্র সাত একর জায়গা প্রয়োজন। অথচ দুটি রেল সেতু ও হাইওয়ে সেতুর দক্ষিণ পাশ্বে সরকারের ২৮ একর জায়গা পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।

উল্লেখিত সেতুগুলির দক্ষিণে জেটি স্থাপিত হলে বরং শিপিডং এর জন্য সহজ হবে। কিন্তু সেটি না করে পুনর্বাসন মার্কেট উচ্ছেদ করে জেটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাস্তব ভিত্তিক নয়। এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে যে কোন অপ্রীতিকর দায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
 

আরও পড়ুন

×