পাটকেল ঘাটায় সতিমির আড়ালে সুদের কারবারের প্রতিবাদে মানববন্ধন

পাটকেল ঘাটায় সতিমির আড়ালে সুদের কারবারের প্রতিবাদে মানববন্ধন

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় শ্রমজীবী সমবায় সমিতির আড়ালে সুদের ব্যবসা পরিচালনাকারী রহমত আলীর হাত থেকে রক্ষা ও তার গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় পাটকেলঘাটা পাচরাস্তা মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। শত শত এলাকাবাসী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী সমবায় সমিতির নিকট থেকে ঋণ নিয়ে প্রতারণা

ও হয়রানির শিকার ভূক্তভোগীরা হাতে হাত দিয়ে ঘন্টাব্যাপী এই মানবন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে প্রতারণা ও হয়রানির শিকার ভুক্তভোগী ফিরোজ হোসেন,

রবিউল ইসলাম, মিরানা ইসলাম, আমজাদ হোসেন, মমতাজ বেগম, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় বক্তরা বলেন পাটকেলঘাটায় শ্রমজীবী সমবায় সমিতির আড়ালে

সুদেরকারবারী হিসাব রক্ষক রহমত আলী দীর্ঘ দিন ধরে সুদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি সমিতি থেকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে অভিনব কায়দায় কোন প্রকারে টাকার অংক উল্লেখ ছাড়াই ফাঁকা চেক,

স্টাম্প গ্রহনের মাধ্যমে সরকারি নীতিমালা লগ্ন করে মাসিক শতকারা ৩০টাকা হারে সুদ গ্রহন করে থাকেন। ভূক্তভোগীরা প্রতিবাদ করলে ফাঁকা স্টাম্প ও চেকে গ্রাহকের ঋণগ্রহনের পরিমানের চেয়ে

১০ গুন টাকা বেশি উল্লেখ করে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। এভাবে সমিতির গ্রাহকদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। জেলা থেকে সমাজসেবা কর্মকর্তা বা সমবায় কর্মকর্তা তদন্তে আসলে

তাদেরকে ম্যানেজ করে ভূক্তভোগীদের মুখোমুখি না করে বিদায় করে দেন। বক্তরা আরও বলেন বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তাজ ইলেকট্রিক এর স্বতাধিকারি

রবিউল ইসলামকে ৩ লাখ টাকা ঋণ দিয়ে পরবর্তীতে তার দেওয়া ফাঁকা চেকে ২২ লাখ টাকা উল্লেখ করে আদালতে মামলা করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বক্তরা আরও বলেন সুদখোর রহমত আলী

পাটকেলঘাটায় শ্রমজীবী সমবায় সমিতির পাশাপাশি ভূয়া রেজিষ্টেশন  উল্লেখ দেখিয়ে পাটকেলঘাটায় শ্রমজীবী সমবায় ফাউন্ডেশনের নামে স্কুল রোডে ছাইনবোর্ড দিয়ে ঋণ দেওয়ার নামে সুদের কারবার পরিচালনা করে আসছিল।

এ ঘটনায় ভূক্তভোগীরা সাংবাদিক সম্মেলন করলে তড়িঘড়ি করে রহমত আলী রাতারাতি সেই সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলেন। সুদেরকারবারি রহমত আলী সহ সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

আরও পড়ুন

×