ফুলবাড়ীর পথে পথে লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা

ফুলবাড়ীর পথে পথে লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা

চারিদিকে উল্লাস। এসেছে মহান বিজয় দিবস। বিজয় মাস এলেই দিনাজপুরের ফুলবাড়ী শহরের পথে পথে দেখা মেলে লাল-সবুজের ফেরিওয়ালাদের।
পৌরবাজার, নিমতলামোড়, ননীগোপালমোড়, সুজাপুর, বাসষ্ট্যান্ড, টিটিরমোড়, ঢাকামোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় হাতে ও কাঁধে বাঁশে বাঁধা বাংলাদেশের নানা আকারের পতাকা নিয়ে ফেরি করছেন কিছু তরুণরা। আকারে ছোট, বড়, মাঝারি, কিন্তু রং দুটোই, লাল আর সবুজ।
প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তর থেকে ছুটে আসেন এই লাল-সবুজের উদীয়মান ফেরিওয়ালারা। তারা বিজয় দিবসের বার্তা বহণ করে আনেন ফুলবাড়ী বাসীর কাছে। তাদের সকলের বয়স ১৬-৩০এর মধ্যেই। তারা শুধু শুধু ফেরিওয়ালাই নয়, তারা দেশপ্রেমিক। অনেকে শখের বশে লাল-সবুজ কাঁধে নিয়ে ফেরি করেন।
সিরাজগঞ্জ থেকে আসা লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা মো. আল-আমিন (২২) বলেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষার্থী। পরিবারে অভাব-অনটনের কারণে বিজয়ের মাস এলেই দেশের বিভিন্নপ্রান্তরে গিয়ে লাল-সবুজের ফেরি করেন তিনি। শুধু অভাব-অনটন’ই নয়, লাল-সবুজের ফেরি করা তার নেশা। তিনি দেশের সকলের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করার লক্ষ্যে প্রতি বিজয়ের মাসে বাঁশে বিভিন্ন আকারের লাল-সবুজ পতাকা টানিয়ে কাঁধে নিয়ে ছুটে বেড়ান জেলা-উপজেলাগুলোতে। তিনি বলেন, বড় পতাকার চেয়ে ছোট পতাকার চাহিদা খুব বেশি। পতাকা ১০ টাকা থেকে শুরু করে মাপানুযায়ী ৩০, ৫০, ৮০, ১০০, ৫০০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। 
    স্থানীয় লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা শাহিন আলম (২৯) বলেন, সারাবছর অন্যের দোকানে কর্ম করে জীবনযাপন করেন। কিন্তু বিজয় মাসে তিনি পতাকা বিক্রি করে। এই মাসে লাল-সবুজের বেশ চাহিদা থাকে। এটি বেশ লাভজনক ব্যবসা। তিনি আরো বলেন, বিজয়ের পতাকা ফেরি করে বিক্রি করতে তার গর্ববোধ হয়।
পতাকা ক্রেতা হাবিবা সুলতানা (৩৬), হামিদুল আলম (৫৯), নিমাই চন্দ্র (৪২) বলেন, তারা বাসার ছোট শিশুদের জন্য বিজয়ের পতাকা কিনেছেন। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। তাই তাদের মধ্যে বিজয়ের অনুভূতি সম্পর্কে জানতেই এ পতাকা কিনেছেন তারা।
 

আরও পড়ুন

×