প্রকাশিত: 15/12/2019
সন্তানদের অত্যাচারে ৭৫ বছরের বৃদ্ধ এখন অসহায়। প্রতিনিয়ত মারধর করে ছেলে ও পুত্রবধুরা। নিরুপায় হয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন বৃদ্ধ মহসিন আলী। মাঠে অর্ধশত বিঘা জমি, গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ ও বিত্ত বৈভবের মকতি ছিল না। ছেলেদের চাপে নিজের ৫২ বিঘা জমি সন্তানদের মধ্যে বন্টন করে দেন এলাকার মাতুব্বররা। জমি বন্টনের পর থেকে অত্যাচার শুরু হয় হাজী মহসিনের উপর। মাধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় দুই কলাঙ্গার ছেলে মিলণ ও মোফাজ্জেল। বৃদ্ধের মাথা গোজায় ঠাই বাড়িটিও ভেঙ্গে ফেলে তারা। বৃদ্ধ মহসিনের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৩নং সাগান্না ইউনিয়নের গিলেপোল গ্রামে। হাজী মহসিন অভিযোগ করেন, সন্তানরা তার দেখভাল করবেন, তিনবেলা খাবার ও ওষুধপত্র দিবেন এই শর্তে মাতুব্বররা তার ৫২ বিঘা জমি ৫ সন্তানের মধ্যে বন্টন করে দেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই তার উপর নির্মম নির্যাতন চলতে থাকে। ছেলে মিলন ও মোফাজ্জেল এলাকায় প্রভাশালী হওয়ায় তারা ও তাদের স্ত্রীরা বৃদ্ধ মহসিন আলীর উপর নির্যাতন শুরু করে। এ ভাবে নির্যাতন করতে করতে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলেও তিনি আশংকা প্রকাশ করেন। বাকী ৩ সন্তান মিলন ও মোফাজ্জেলের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেন না বলে প্রতিবেশিরা জানান। হাজী মহসিন বলেন, তিনি বৃদ্ধ বয়সে প্রশাসনের কাছে সাহায্য চেয়েছেন যাতে তার উপর দুই ছেলের নির্যাতন চালান। এ কথা বলেই তিনি হাউ মাউ করে কেঁদে ফেলেন। তার বুকফাটা আর্তনাদ শুনে পথচারীরা ভীড় জমাতে থাকে।