প্রকাশিত: 19/12/2019
বাংলাদেশ একটি জনবহুল ও কৃষি প্রধান দেশ। জনসংখ্যার বিরাট একটি অংশ কৃষি কাজের সহিত সংশ্লিষ্ট। এ দেশের ভুমির বর্তমান মালিকানা প্রক্রিয়া হস্তান্তরিত ভাবে চলছে বংশ পরম্পরায় মালিকানা উত্তরাধিকারিত্বের মাধ্যমে।
অর্থ্যাৎ পিতার রেখে যাওয়া ভু-সম্পদের মালিক হচ্ছেন সন্তানগণ। অত:পর সন্তানের সন্তান এ ক্রম ধারাবাহিকতায়।ভুমি হচ্ছে দিনের পর দিন বিভাজিত।দিনে দিনে হচেছ খন্ড থেকে খন্ডায়িত। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, যে সকল মামলা মোকদ্দমা কোর্ট কাচারীতে চলমান তার বিরাট একটি অংশ ভু-সম্পত্তির অংশীদারিত্বের জটিলতায় চলমান।
অথবা ভুমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়াদি থেকে মুলত সৃষ্ঠ।বাড়ছে মামলার জট। কৃষককুল হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার লাঞ্চনা-বঞ্চনা, প্রতারণার শিকার বা কষ্ঠের মধ্যে পতিত। সুতরাং এ ভু- সম্পত্তির রেকর্ড সরকারী ভাবে সংরক্ষিত রাখা হয় জনগণের সেবা ও সহায়তা প্রদানের বা বিভিন্ন প্রকার উদ্ভুদ পরিস্তিতির জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে।
অতএব এ বিভাগটির গুরত্ব জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।তাছাড়া জমি বা ভু-সম্পত্তি মানুষের সুবিধা অসুবিধায় ক্রয় বিক্রয় করতে হয়। এক্ষেত্রেও জমির ইতিহাস বা রেকর্ডপত্রের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
খাজনা প্রদানের বা নামজারীর ক্ষেত্রেও রয়েছে গুরুত্ববহতা। সুতরাং সরকার ও এ বিভাগটিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদানের কথা থাকলে ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ভুমি অফিসের নাজুক অবস্তাদৃষ্টে মনে হয় সবচেয়ে অবহেলিত।
যদিও বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ডিজিটেলাইজেশনের মাধ্যমে জনগণের দোর গোড়ায় অনলাইনভিত্তিক সেবা পৌছে দেবার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তবু মনে হয় কোথায় যেন একটু ফাঁক রয়ে যাচ্ছে।
ইউনিয়ন ভুমি অফিস প্রয়াগমহল সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলাধীন ২নং খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের মাত্র কয়েক মিটার ব্যবধানে অবস্থান করছে। দীর্ঘদিন ধরে একটি জরাজীর্ণ ভবনে কাজ পরিচালিত হচ্ছে। অফিসের মাত্র দু’টি কক্ষ আছে।তম্মধ্যে যার একটি কক্ষের ছাদবিহীন অবস্তা দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান রয়েছে বলে জানা যায়।
অপর দিকে একটি দেয়াল সম্পূর্ণ ভাঙ্গা থাকায় একটি কক্ষেই পার্টিশন করে কাজ চালানো হচ্ছে।মোট ৩৯টি মৌজার ভুমির রেকর্ড পত্র সংরক্ষিত ও অফিস পরিচালিত হওয়া কতটুকু নিরাপদ ও স্বাচছন্দে কর্ম পরিচালিত হচ্ছে তা যে কেহ অতি সহজেই অনুমেয় হতে কষ্ট হবার কথা নয় বলে আশা। মুল্যবান এ সকল রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ কাজ অনেক কষ্ট সাধ্য বিষয়।
অনেকটা অগোছালো অফিসের অবস্তা। এদিকে ভুমি উপসহকারী কর্মকর্তা ও অফিস সহায়ক এ দু’টি পদ শুন্য বলে জানা যায় ৬ ও ২ বৎসরাধিক সময়ের অধিক দিন যাবত। অফিস পরিচালনায় এ দু’টি পদ শুন্য থাকায় কর্মকর্তাদের হিমশীম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সরকারের ভুমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি নুতন ভবন তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে আজ থেকে দুই বৎসর পূর্বে। ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলে জনসাধারণ আশাবাদি হয়েছিলেন, কিন্তু ভবন তৈরীর কাজ আজ দুই বৎসরেরও অধিক সময় ব্যয়িত হয়েছে কাজটি সমাপ্ত হয়নি। এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে।
তা সমাপ্ত হতে কতদিন সময় লাগবে এলাকাবাসীসহ সকলেই আছেন দেখার অভিপ্রায়ে অপেক্ষায়।কিন্তু কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা হলে জনসাধারণের অত্যন্ত জরুরী রেকর্ডপত্র সুসংরক্ষণে এবং ভোগান্তির অনেকাংশ লাঘব হবে বলে অত্যন্ত প্রত্যয়ী প্রত্যাশী।
ইউনিয়ন ভুমি অফিস প্রয়াগমহল সহকারি কর্মকর্তা আব্দুস শুকুর বলেন, ভুমি উপসহকারি কর্মকর্তা ও অফিস সহায়ক পদ পূরণ হলে এবং ভবনটি নির্মাণের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হলে রেকর্ডপত্র বা অফিস পরিচালনায় স্বাচছন্দবোধ ফিরে আসবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ প্রদান করলে জনগণের ভোগান্তি নিরসন হবে বলে জানান।