প্রকাশিত: 20/12/2019
বৃটেন হচেছ একটি উন্নত দেশ।পরাশক্তির একটি দেশ।পৃথিবীতে সকল দেশের স্বাধীনতা দিবস থাকলে ও বৃটেন হচেছ এক মাত্র দেশ যার স্বাধীনতা দিবস নেই। প্রায় দুই শত বৎসর এদেশকে শাসন করেছিল দাপটের সহিত। অত:পর অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয়েছিলাম তাদের কাছ থেকে। আবার ধীরে ধীরে রুটি রোজির উদ্দেশ্যে আমাদের পূর্ব পুরুষরা পাড়ি জমান বৃটেনে। অর্জন করেন নাগরিকত্ব। বৃটেনে বসবাসকারী বাংলাদেশীরা দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী হয়ে করছেন বসবাস। দিনে দিনে বাড়ছে বাঙ্গালীর সংখ্যা।মেধা, মনন, পরিশ্রম ও কর্মগুণে হচেছন গুণান্বিত, গর্বিত। এগিয়ে যাচেছন সামনের দিকে অদম্য মননশীল ও মানবিকতায়।পদ ও পদবী গ্রহণ করছেন উচচাসনে।বৃটেনের এবারের জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন পাঁচজন নারী প্রার্থী।আমরা হয়েছি গৌরবান্বিত, আশান্বিত। অন্ধকার ঠেলে প্রভাত রবির আলোয় আলোকিত হবার আলোকোজ্জলতার আভাস প্রাপ্তি দেখছি ভবিষ্যতের পানে তাকিয়ে।
গত ১২ ডিসেম্বর হয়ে গেল বৃটেনের জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত পাঁচ নারী সদস্য। এ পাঁচজন এমপি’র মধ্যে প্রথম বারের মত ও নুতন হিসাবে জয়যুক্ত হয়েছেন সুনাম গঞ্জের জগন্নাথ পুরের মেয়ে আফসানা বেগম পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশী অধ্যুষিত পপলার এন্ড লাইম হাউস আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়ন পেয়ে।কোন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত নারী হিসাবে তিনিই প্রথম জয়লাভকারী প্রার্থী ছিলেন এবং জয়লাভ ও করেন।বিগত ১৮ ডিসেম্বর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি হিসাবে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন হাতে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন আফসানা বেগম।উল্লেখ থাকা আবশ্যক যে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৬৫০ জন এমপি’র মধ্যে অনেক মুসলিম এমপি থাকলেও একমাত্র আফসানা বেগম স্কার্ফ বা হিজাব পরিহিত অবস্তায় শপথ গ্রহণ করেন এবং ভবিষ্যতে সে ধারা অব্যাহত রেখেই পার্লামেন্ট অধিবেশনে যোগ দিবেন –ইনশাল্লাহ।তিনি সবার দোয়া ও ভালবাসা কামনা করেন।