প্রকাশিত: 25/12/2019
২৫ ডিসেম্বর সোমবার সকালে উত্তর বঙ্গের হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তিস্তা নদীর অববাহিকায় উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ডিমলা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএমআই কলেজ মাঠে অসহায় দুস্ত ছিন্নমূল কনকনে শীতে বিপর্যস্ত শীতার্ত হতদরিদ্র সহায় সম্বলহীন অর্ধশতাধিক পরিবারের সদস্যদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দুখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতেই “পজেটিভ বাংলাদেশ” এর পক্ষে এ শীত বন্ত্র প্রদান করা হয়েছে বলে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনটিন সদস্যরা জানিয়েছেন।
তারা জানান, উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলায় হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের হাতে শীত নিবারণের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
তারই ধারবাহিকতায় জেলার ডিমলা উপজেলায় এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। পজেটিভ বাংলদেশের সদস্য মহববত হোসেন মোঃ বারীর সভাপতিত্বে ও পজেটিভ বাংলাদেশের নির্বাহী সদস্য হিমেল সরকারের এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নূর-ই আলম সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি ডিমলা থানার ওসি তদন্ত মোঃ সোহলে রানা, সংগঠনটির কার্যক্রমের প্রশংসা করে এবং নিজেইে এই গ্রপের সদস্য হতে চান বলে ঘোষানা করে বক্তৃতা করেন বিশেষ অতিথি ডিমলা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএমআই কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল কাদের, বিশেষ অতিথি খগাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন, পজেটিভ বাংলাদেশের মডেরেটর শাকিল আহম্মেদ প্রমূখ।
পজেটিভ বাংলাদেশের উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করে প্রধান অতিথি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে একটি গ্রæপের কার্যক্রমে একদিন পজেটিভ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি সংগঠনটির পজেটিভ ও ভালো উদ্যোগগুলি আরো বেশি প্রসারিত হোক এগিয়ে যাক পজেটিভ বাংলাদেশ বলেও তিনি কামনা করেন। তিনি আরোও বলেন “পজেটিভ বাংলাদেশ” সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির কাজ আমারও ভালো লেগেছে।
তারা ছোট ছোট এসব কাজের মধ্যে দিয়েই মানুষের মনের মধ্যে জায়গা করে নিচ্ছে বলে আমি বিশ্বাস করি। তারা সারাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছে এটা শুনে আমার খুবই ভালো লাগলো।
এখন ভালো কাজ মানুষ করতে চায়, কিন্তু এরকম কোন ভালো ফোরাম কিংবা সংগঠন না পাওয়ায় তারা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। বিশেষ অতিথি ডিমলা থানার ওসি তদন্ত সোহলে রানা বলেন, এটা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ।
তবে এর পাশাপাশি সমাজে তরুণদের সাথে কাজ করে তাদেরকে বিভিন্ন খারাব কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে বিশেষ করে মাদক সেবন থেকে তাদের দুরে রাখতে পজেটিভ বাংলাদেশের সদস্য কাজ করে যাবেন বলেও আমি মনে করি। এ সময় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে পজেটিভি বাংলাদেশের কার্যক্রম নিয়ে কিছু আলোকপাত করতে গিয়ে হিমেল সরকার বলেন, অসহায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিরাশ্রয়কে আশ্রয় দিয়ে স্বপ্নের বাড়ী তৈরী করে দিচ্ছে আমরা।
আমরা পজেটিভ বাংলাদেশের সদস্য হতে পেরেও নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমরা যেসব শিক্ষার্থী অর্থাভাবে লেখাপড়া করতে পারে না কিংবা বই কিনে লেখাপড়া করা তাদের খুবই কষ্টকর
সেসব শিক্ষার্থীদেরকে পজেটিভ বাংলাদেশ এর পক্ষে সহযোগীতা করছি। স্কুলের ছোট ছোট কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের হাতে তুলে দিচ্ছি খাতা-কলম।
একই ভাবে সামাজিক ও স্বেছাসেবী সংগঠন পজেটিভ বাংলাদেশের কার্যক্রম তুলে ধরে শাকিল আহম্মেদ বলেন, বিগত দুই বছর ধরে এই পজেটিভ বাংলাদেশ অলাভজনক সংগঠনটি এভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে শীতার্ত মানুষের মাঝে।