প্রকাশিত: 31/12/2019
ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় বিদায়ী বছরে (২০১৯) খুনসহ লাশ উদ্ধার হয়েছে ৪৭ জনের। এরমধ্যে পরকীয়া, দাম্পত্য কলহ ও নারীঘটিত কারণে খুন হয়েছে ১২জন নারী পুরুষ।
উপজেলাগুলোর মধ্যে খুনে শীর্ষে রয়েছে মহেশপুর। এক বছরে সেখানে ১৬ জন নারী পুরুষ খুন হয়েছেন। মাদকের টাকা না পেয়ে মহেশপুরের নওদা গ্রামে মা মর্জিনা খাতুন ও নানি ছামসুন্নাহারকে খুন করে ইমরান নামে এক মাদকাসক্ত যুবক।
সীমান্তে বিএসএফ কতৃক ও পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ৬ জন নিহত হয় বিদায়ী বছরে। এছাড়া ঝিনাইদহ সদরে ১১ জন, কালীগঞ্জে ৬ জন, কোটচাঁদপরে ১ জন, শৈলকুপায় ৮ জন ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৫জন খুনসহ লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ধর্ষনজনিত ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২৭ জন নারী ও শিশু। এর মধ্যে মধ্যে ৮/১০জনের ধর্ষনের অভিযোগ প্রমানিত হয়নি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন পুলিশ সদস্যসহ নিহত হয়েছেন ৫৭ জন। বিভিন্ন সুত্র থেকে প্রাপ্য তথ্যে জানা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় সবচে বেশি নিহত হয়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলায়।
সদরের বিভিন্ন সড়কে ২২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া কালীগঞ্জে ১৫জন, কোটচাঁদপুরে ট্রেনে কেটেসহ ৩ জন, শৈলকুপায় ১০ জন, মহেশপুরে ৪ জন ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৩ জন নিহত হন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস জানান, ঝিনাইদহে সব খুনের ক্লু ও মোটিভ উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
তিনি বলেন সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে ঝিনাইদহে পরকীয়ার কারণে কিছু খুনের ঘটনা ঘটেছে। পিতামাতার সাথে সন্তানের সুসম্পর্ক নেই। স্কুল কলেজে জীবনমুখি নৈতিক শিক্ষা নেই।
শিক্ষকদের নৈনিতক অধঃপতন ঘটেছে। তারাও ছাত্রীদের ধর্ষন ও হত্যা করছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে অশ্লিল ভিডিয়ো দেখে ছেলে মেয়েরা বিপথগামী হচ্ছে।
মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। তারা ১৮ বছরের আগেই সন্তানের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিচ্ছে।