প্রকাশিত: 06/01/2020
সকালটা ছিল কুয়াশার চাদরে মোড়া।কুয়াশার চাদরে মোড়া চারপাশ ,সূর্য দেখা দেয়নি এখনো। ঘন কুয়াশাতে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।
রাত থেকেই বইছে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চল। ধীরে ধীরে কমছে তাপমাত্রা। সঙ্গে কনকনে হিমেল হাওয়া।
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে চারপাশ। জানুয়ারির শুরুতেই এসে পুরো উত্তরাঞ্চলজুড়েই এখন শীতের ব্যাপক দাপট।
হাড়কাঁপানো শীতে সারাদেশ কাহিল। এতে বাদ যায়নি ঠাকুরগাঁওয়ের সীমানা ঘেঁষা উপজেলা রাণীশংকৈলও। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন দেশের প্রায় অধিকাংশ অঞ্চল।
একদিকে দেশজুড়ে প্রচণ্ড শীত, অন্যদিকে কনকনে বাতাসে শীতের তীব্রতা বহু গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টায় এ এলাকার তাপমাত্রা আরো ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমবে। আর ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাবে দেশের উত্তর অঞ্চল ।
এই শীতে যতটা কাতর, তারচেয়েও অনেক বেশি শীতে জর্জর দেশের উত্তর ও উত্তরের মানুষ । কারণটা শীতের সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
গত দুদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে এই এলাকার অভাবি মানুষের শীত নিবারণে অগ্নিকুণ্ডই একমাত্র ভরসা।
তাদের উপযুক্ত শীত নিবারণের পোশাক না থাকায় অনেক স্থানে সারা রাত আগুন জ্বেলে বা বস্তা-চট পেঁচিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
এদিকে শীত পড়ায় বেচাকেনা বেড়েছে শিবদিঘি থেকে ডাবতলী পর্যন্ত নতুন পুরাতন শীতবস্ত্রের। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দোকান, ফুটপাতেও বেচাকেনার ভিড় দেখা গেছে।এবারের শীতে শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।