ঝিনাইদহ চিনিকল শ্রমিকদের পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন

প্রকাশিত: 24/09/2019

আতিক টুটুল

ঝিনাইদহ চিনিকল শ্রমিকদের পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ বেতন নেই প্রায় দু’মাস। তবুও যার যার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তারা।মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ইক্ষু, গ্যারেজ ও কারখানা বিভাগে প্রায় দুই শতাধিক জনবল সংকটের সত্ত্বেও আসন্ন ২০১৯-২০২০ মৌসুমে ১০ হাজার একর জমিতে হাল মুড়ি আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে স¤প্রসারণ কর্মকর্তা মাঠকর্মী (সিবিত্র), সিআইসিগণ। প্রায় দু’মাস বেতন না পাওয়ায় আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছে শ্রমিক কর্মচারী এবং তাদের পরিবার পরিজন। অথচ গত ঈদুল আযহার পর কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ কোটি টাকার চিনি বিক্রি করে রাষ্ট্রায়ত অন্যান্য চিনিকলের শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ করেছে বলে জানায় মোচিকের সিবিত্র নেতারা। তার পরও এই মিলে শত চেষ্টার করেও বকেয়া মাসের বেতন দিতে পারছে না মিল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।মোচিকের ঘিঘাটি কেন্দ্রের আদর্শ আখচাষী শাহপুর গ্রামের ইউসুপ আলী, চাঁদপাড়া গ্রামের আজম খান, এলাঙ্গী গ্রামের মুছা খান, নওদা গাঁ গ্রামের মোজাম মন্ডল, খালিশপুরের গোয়ালহুদা গ্রামের আঃ কাদের মিয়া, পশ্চিম বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বড় আখচাষী শেখ শাহাজাহান আলী জানায়, এবার মোবারকগঞ্জ চিনিকল এলাকার দন্ডায়মান আখের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।তাদের ভাষ্য, ধানের দাম নিম্নগামী, টানা অনাবৃষ্টির কারণে মৌসুমী সবজি ফসল নষ্ট সহ মাঠের পর মাঠ দন্ডায়মান সোনালী আঁশ পাটের দুরাবস্থা প্রভৃতি কারণে এই জনপদের আখচাষীরা নিজেরাই আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হবার জন্য সার, কীটনাষক কিনে আখের জমিতে প্রয়োগ করছে যাতে অল্প জমিতে াদিক ফলন পেতে পারে। গত মৌসুমে মিল কর্তৃপক্ষ চাষীদের প্রয়োজনীয় সার দিতে পারেনি।চাষীদের অভিমত, অন্যান্য ফসরের বাজার দর উঠানামা করলেও আখের একটি সরকার নির্ধারিত বাজার মূল্য রয়েছে। এই ফসলে লোকসান হবার কোন সুযোগ নেই।মিল গেট এলাকার বাবরা গ্রামের সাবেক পৌর কমিশনার আবদুল মান্নান মনা বলেন, ধান, পাট, কেতেন ফসলের চাষ করে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।মোবারকগঞ্জ কৃষি জি এম এবং সিবিএ সভাপতি গোলাম রসুল বলেন এবার ৬ হাজার ৭শত একর জমিতে মাড়াই যোগ্য আখ আছে। যা থেকে ১ লাখ ২৩ হাজার মেঃ টন আখ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ২০১৯-২০২০ রোপন মৌসুমে ১০ হাজার একর আখ উৎপাদনের জন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সার উপকরণ মজুদের চেষ্টা করা হচ্ছে। সিবিএ সভাপতি বলেন শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন খুব তাড়াতাড়ী দেয়া হবে। এ ব্যাপারে করপোরেশন চেয়ারম্যান ও কন্ট্রোলারের সাথে কথা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×