প্রকাশিত: 15/01/2020
পৌষ-পার্বণ মানেই বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠা উৎসবের ধুম। ভোজন রসিক বাঙ্গালীর এতিহ্যের সাথে যেন মিশে আসে ভাপা, চিতই, পাকানসহ নানা পিঠার নাম। শীত শুরু থেকেই যেন পিঠার ধুম পরে গ্রামে গ্রামে। শহুরে জীবনে যেন অনেকটা অপরিচিত এই দৃশ্য। শুধু সকাল আর বিকেলে শহরের মোড়ে মোড়ে বিক্রি করা হয় ভাপা পিঠা। বাঙালির চিরাচরিত এই ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে হচ্ছে জমজমাট পিঠা উৎসব।শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে এ উৎসবের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। বাঙালি ঐতিহ্যের ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, নকশা, পাকন, ফুল, দুধ পুলি ও চন্দ্র পুলিসহ প্রায় ৫০ রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন গৃহবধূরা। এ উৎসবে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ও পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। মেলায় নারী ও শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ভিড় করেন।শহরের কলাবাগান থেকে আসা সাংস্কৃতিক কর্মী নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। শহুরে জীবনে এ ধরনের পিঠা উৎসবের আয়োজন প্রতিনিয়ত করা উচিত। তবেই আমরা বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবো।হামদহ থেকে আসা আহমেদ আলী নামের একজন বলেন, বাঙ্গালীর ঐতিহ্য পিঠার স্বাদ না গ্রহণ করলে বোঝা যাবে না। বাঙ্গালী যেন ভোজন রসিক পিঠাপুলি তার উদাহরণ এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই আর পৌষ সংক্রান্তি পালন করার জন্যই এ আয়োজন। সন্ধ্যায় সেরা পিঠা তৈরী স্টল মালিকদের পুরস্কার প্রদাণ করা হয়।