বেনাপোল চেকপোস্টে  ভ্রামন ট্যাক্স সংকট চরম দূভোগে পাসপোর্ট যাত্রীরা

বেনাপোল চেকপোস্টে  ভ্রামন ট্যাক্স সংকট চরম দূভোগে পাসপোর্ট যাত্রীরা

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ভ্রমণে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা পড়েছে চরম দূর্ভোগে। ভারত ভ্রমণে যাওয়ার জন্য বেনাপোল চেকপোষ্টে সোনালী ব্যাংকের বুথে ভ্রমণ ট্যাক্সের কোন রসিদ নেই। যাত্রীদেরকে একটি করে ট্রেজারী চালান কপি হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তারা।ফলে  চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীরা। শনিবার (৭ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে এ সংক্রান্ত একটি জরুরী নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের সোনালী ব্যাংক বুথ শাখায়। সরেজমিনে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেমন গিয়ে  দেখা যায়,  প্রত্যেক যাত্রীকে সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে একটি করে ট্রেজারী চালান কপি দেয়া হচ্ছে। সেই চালান কপি কে  আবার দুটি ফটোকপি করতে বলা হচ্ছে।অনেক যাত্রী চালান কপি লিখতেও পারছে না। কেউ াাবার ফটোকপির দোকান খুজতে হয়রান হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, সোনালী ব্যাংকের বুথে যে নোটিশ টি টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে কোন কোর্ড নম্বরও দেওয়া নেই।কোন কোড নম্বরে যাত্রী সাধারন ট্রাক্সের টাকা জমা দেবে সেটাও কোন দিক নির্দেশনা নেই ওই নোটিশে। আর যে নোটিশটি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাঙ্গিয়ে দিয়েছে তার নিচেও কর্তৃপক্ষের কোন স্বাক্ষর নেই।ফলে অশিক্ষিত কিংবা অল্পশিক্ষিত পার্সপোট যাত্রীরা পড়ছেন বিভ্রান্তে।
 ঢাকা থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী সেলিনা আক্তার বলেন, আমরা মহিলা মানুষ। ভারত ভ্রমণে যাচ্ছি। আমাদেরকে একটি করে ট্রেজারী চালান ধরিয়ে দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আমি মহিলা মানুষ। এতো কিছু বুঝি না। আবার একটি করে ট্রেজারী চালান দেওয়া হয়েছে সেটি আবার ফটোকপি করে নিতে হচ্ছে। কোথা থেকে ফটোকপি করবো আর কোথা থেকেই বা চালান লিখে নেবো তাও জানিনা। এ সংক্রান্ত কোন নোটিশও আগে থেকে জারি করা হয়নি। এমন আন্তর্জাতিক বন্দরে এ ধরনের সমস্যায় বড়ই বিব্রতকর অবস্থায় পড়লাম। বেনাপোলের সোহাগ পরিবহনের ম্যানেজার জানান, এর আগে বেনাপোল চেকপোস্টে ভ্রমণ ট্যাক্স সংক্রান্ত এ ধরনের কোন জটিলতা আমাদের চোখে পড়েনি। এমন বন্দরে এ ধরনের সমস্যা খুবই হতাশাজনক। যেখানে গড়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। সেখানে আগে থাকতেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ ছিল।গুরুত্বপুর্ণ এ বন্দরে এ ধরনের কার্যক্রম এ বন্দরের সুনাম নষ্ট ছাড়া কিছুই না। সকাল থেকেই দেখছি যাত্রীরা চরম হতাশা নিয়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছে। 
এ ব্যাপারে বেনাপোল সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার রকিবুল হাসান জানান, রসিদ বই সংকটের কথা দুই মাস আগে রাজস্ব বোর্ডকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। তিনি আরো জানান, অনেক যাত্রী আছে তারা অনলাইন বুঝে না, তারা টাকা কিভাবে জমা করবে? এভাবে পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানিতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
 

আরও পড়ুন

×