প্রকাশিত: 11/03/2020
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী শহরের বুকচিরে বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ফুটব্রিজ সংলগ্ন কাঁচাবাজার হওয়ায় যানযটে নিস্তার নেই স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের।
ব্রিজে দু’মুখে রিকশা-ভ্যান ঢুকায় সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানযট। এতে সময় মতো স্কুল-কলেজ কিংবা অফিসে যেতে পারছেন না ভুক্তভোগিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুটব্রিজের পশ্চিমপ্রান্তে সরকারি কলেজ, সুজাপুর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সুজাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নর্থ পয়েন্ট আইডিয়াল স্কুল, গ্রীণল্যাÐ মডেল স্কুল, সেলফ্ওয়ে রেসিডেন্টসিয়াল স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শতাধিক প্রাইভেট-কোচিং সেন্টার রয়েছে। ফুট ব্রিজের পশ্চিমপ্রান্তে ভোররাত থেকেই শুরু হয় পাইকার ও খুচরা কাঁচাবাজার। রাস্তার ওপর বসে তর-তরকারির পসরা। তারওপর রাস্তায় দাঁড়িয়ে অর্ধশত রিকশা-ভ্যান, নছিমন-করিমনসহ ছোটবড় যানবাহন। ফলে রাস্তা দিয়ে চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে ফুটব্রিজের দু’মুখেই রিকশা-ভ্যান ঢুকে পড়লে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানযট। যার কারণে সময় ও অর্থ দুইই অপচয় হচ্ছে। আর শিক্ষার্থীদের ঘটছে পড়ালেখা ব্যাঘাত।
স্কুল শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান, রাজ বাবু ও ইমন বলে, ‘ফুটব্রিজের ওপর যানযট সৃষ্টি হওয়ায় সময় মতো স্কুল-প্রাইভেটে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটছে। রিকশায় গেলে বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে।’
কলেজ শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, সাবিনা ইয়াসমিন, অনামিকা রায় বলে, ‘সময় মতো বাসা থেকে বের হলেও কলেজে পৌঁছানো সম্ভব হয় না যানযটের কারণে। অপর দিকে কাঁচাবাজারের অনেক ব্যবসায়ীরা রাস্তা দিয়ে যাওয়া মেয়েদের দেখে ইভটিজিং করে।’
অভিভাবক ও পথচারী নজরুল ইসলাম, ফরিদা বেগম, আনোয়ারা বেগম ও আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘ব্রিজের যানযট ও রাস্তার ওপর দোকান বসানো কারণে সময় মতো কর্মজীবীরা অফিস-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে যেতে পারছে না। প্রশাসনের উচিত বাজার নজরদারি করা। এই যানযটের কারণে হরহামেশাই সৃষ্টি হয় গÐগোল। আর এইকারণে রিকশা-ভ্যান চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন।’
রিকশা চালক নূর ইসলাম, খাইরুল আলম, যতিশ রায় ও আমিনুল বলেন, ‘যানযটের কারণে ১০ মিনিটের রাস্তায় আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে রাস্তা সংলগ্ন দোকানীদের সাথে বচসা হয়ে থাকছে।’
পৌর মেয়র মো. মুরতুজা সরকার মানিক বলেন, ‘রাস্তাটি সিঙ্গেল হওয়ার কারণে যানযট সৃষ্টি হচ্ছে। পৌরসভা থেকে লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, ‘রাস্তার ওপর যদি কেউ অবৈধভাবে স্থাপনসহ রাস্তায় পসরা বসিয়ে রাস্তা সরু করে থাকে তাহলে ভ্রাম্যমান অভিযানের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হবে।