বেনাপোল চেকপোষ্ট  ইমিগ্রেশনে স্থাপিত হলো  থার্মাল স্ক্যানার 

বেনাপোল চেকপোষ্ট  ইমিগ্রেশনে স্থাপিত হলো  থার্মাল স্ক্যানার 

অবশেষে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনে নতুন থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করা হয়েছে। একাধিক মিডিয়ায় থার্মাল স্ক্যানারের অভাবে করোনা ভাইরাস  পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য বিভাগ। যার ফলে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নতুন থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি স্থাপিত করা হয়।  এখন থেকে করোনা ভাইরাস শনাক্তের জন্য যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে করা। এর আগে হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছিল। নতুন থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করায় স্বস্তি ফিরেছে যাত্রী ও ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তাদের মাঝে।
বর্তমানে ভ্রমণ, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কাজে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে হাজার হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এসব যাত্রীদের মধ্যে ১৫ শতাংশ রয়েছে বিদেশি যাত্রী। ফলে এ বন্দরে করোনা সংক্রমণের বেশ ঝুঁকি রয়েছে।

ভারতত প্রত্যাগত পার্সপোট যাত্রী ঢাকার হুমায়ন কবির বলেন, দেশের বৃহত্তর স্থল বন্দর বেনাপোল ইমিগ্রেশনে নতুন থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করায় পাসপোর্ট যাত্রীদের দ্রæত স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে নিয়োজিত স্বাস্থ্য বিভাগের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ জানান, আগে থার্মাল স্ক্যানারটি ও ভাল ছিল। শুধুমাত্র ছবি দেখে যেত না। বর্তমানে নতুন থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করায় পাসপোর্ট যাত্রীদের মনের সন্দেহ দূর হয়েছে। এখন আরও দ্রæত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।  যদি কোনো বিদেশি যাত্রীর মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ পাওয়া যায় তাহলে তাকে প্রবেশ করতে না দিয়ে ফেরত পাঠানো হবে। এবং বাংলাদেশি হলে তাকে দ্রæত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) আহসান হাবিব জানান, ভারত থেকে আগত প্রত্যেক যাত্রীকে থার্মাল স্ক্যানার মেশিন দিয়ে স্ক্যানিং করানো হচ্ছে। কোনো যাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া দেশের ভেতর প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে যাত্রীদের সচেতনতায় বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রচার-প্রচারণার মতো ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে
 

আরও পড়ুন

×