ফুলবাড়ীতে বিদেশফেরত ৭৬ ব্যক্তির হদিস নেই

ফুলবাড়ীতে বিদেশফেরত ৭৬ ব্যক্তির হদিস নেই

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থানা পুলিশের তালিকা অনুযায়ী চলতি মাসে ১৪০ জন বিভিন্ন দেশ থেকে ফুলবাড়ীতে ফিরেছেন। এর মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য বিভাগ ৫৫জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেছে। বাকি ৭৬ জনের কোনো হদিস নেই। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা থাকলেও বিদেশফেরত এসব ব্যক্তিদের তথ্য নেই স্বাস্থ্য বিভাগেও। গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। 
    থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশেল বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী চলতি মাসে ফুলবাড়ী জেলায় বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন ১৪০ জন। 
    ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, এসবি থেকে পাঠানো তালিকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বিদেশ ফেরত ব্যক্তির সংখ্যা ১৪০ জন। এর মধ্যে ৬৪ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। ৬৪ জনের মধ্যে ৫৫ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। পৌর মেয়র ও তার পতিœসহ ৯জনের হোম কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা অতিক্রম করায় তারা হোম হোয়ারেন্টিনে নেই। তবে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদেরকে পুলিশি নজরদারীতে রাখা হয়েছে, যাতে তারা কোয়ারেন্টিন ছেড়ে বাইরে বের না হন। তবে তালিকার ৭৬ জনের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তারা কোথায় কীভাবে রয়েছেন, কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন নাকি নেই, তা তালিকা ধরেবাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের এতদিন কোন তালিকা ছিলন না স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে। এলাকার স্বাস্থ্যকর্মী, স্থানীয় সূত্র এবং জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিদেশফেরত ব্যক্তির খবর পেয়ে তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এখন তালিকা হাতে পাওয়ায় তথ্য পাওয়া সহজ হয়েছে। 
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. এনায়েতুল্লাহ নাজিম জানান, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভায় বিদেশফেরত ব্যক্তিকে সতর্কতার সঙ্গে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধন্ত হয়েছে। কেউ নির্দেশ না মানলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অর্থদন্ড দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া এ কাজে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
    পৌর মেয়র মো. মুরতুজা সরকার মানিক বলেন, তিনি ও তার সহধর্মিনী শাহানারা পারভীন গত ৬ মার্চ ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরা ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়াসহ তাদের কোন প্রকার অসুখ-বিসুখ না হওয়ায় তারা সুস্থ্য আছেন বলেই হোম কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন পড়েনি। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে পৌরসভার দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
 

আরও পড়ুন

×