প্রকাশিত: 31/03/2020
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অফিস-আদালত বন্ধ এবং জনসমাগম নিষিদ্ধ করে দেওয়ায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর কাঁচাবাজারে ধস নেমেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফুলবাড়ী পৌর শহরের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচাবাজার ও আড়তে ক্রেতা নেই। অলস সময় পার করছেন আড়তদারেরা। অনেকেই দোকান খুলে রেখে গেছে।
বাজারে এসেছিলেন, উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের হরহরিয়া গ্রামের তাহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সকালে দুইবস্তা বেগুন এনেছি বিক্রি করতে। কিন্তু ক্রেতা না থাকায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিতে চাইছেন না।
বাধ্য হয়ে তিন-চার টাকা কেজি দরে বেচছি। এতে রিকশাভ্যান ভাড়াও উঠবে না।’ তিনি বলেন, ‘ক’দিন আগে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি পাইকারি বাজারে বেগুন বিক্রি করেছি।
’ একই ইউনিয়নের পলিপাড়া গ্রামের সঞ্জয় রায় বলেন, একবস্তা শসা এনেছি বিক্রি করতে। ক্রেতার অভাবে বাধ্য হয়ে পাইকারি ব্যবসায়ির কাছে তিন টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।
ক’দিন আগে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি পাইকারি বাজারে শসা বিক্রি করেছি। বর্তমানে শসা বিক্রি করে যাতায়াত খরচও উঠছে না।
আলুর পাইকারি ব্যবসায়ী আবু বক্করবলেন, ‘প্রতি কেজি আলু ২০ থেকে ২২ টাকায় বেচছি। দুপুর পর্যন্ত চারবস্তা আলুও বেচতে পারিনি।’ পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ি মিহির চন্দ্র দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রতি কেজি বেগুন ৮ টাকা, শসা ও ক্ষীরা ৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৫ টাকা, আলু ১৬ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও রসুন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি করেছেন। প্রায় তিন ওজনের প্রতিটি মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।