নরসিংদীর রায়পুরা অসচ্ছল পরিবারের মধ্যে ছাত্রলীগ ও কয়েকটি সংগঠনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

নরসিংদীর রায়পুরা অসচ্ছল পরিবারের মধ্যে ছাত্রলীগ ও কয়েকটি সংগঠনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

করোনা ভাইরাস থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে অন্যান্য দেশের সাথে পারস্পরিক যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে সব রকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন ও দেশের সর্বস্তরের মানুষকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। 
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর মতে, পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোতে করোনা পরিস্থিতি খুব খারাপ ও মৃত্যুর হার বেশি হলেও আমাদের মতো স্বল্পোন্নত দেশ যেখানে অনেক মহৎ ও আল্লাহর অলিদের বাসস্থান ছিল এবং এদেশের মানুষজন খুব ধর্ম পরায়ন হয়াতে আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। তবে দেশের মানুষের প্রতি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ, করোনা থেকে নিজেকে বাঁচাতে ও আশেপাশের মানুষদের বাঁচাতে সবাই যেন বর্তমান কভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের প্রতিটি নির্দেশ মেনে চলেন এবং যেসব প্রতিস্থান ও সংস্থা আর্থিক ভাবে সচ্ছল ও দেশের মানুষদের জন্য কিছু করতে চান তারা যেন বিপদের দিনে নিম্ন আয়ের ও অসচ্ছল পড়িবারের মাঝে সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন ও করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন। 
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে গরীব মানুষের দুঃখ ও সাময়িক সমস্যা দূর করার জন্য সরকারের পাশাপাশি দেশের অনেক রাজনৈতিক সংগঠন, মানবিক ও দানবীর লোকজন এবং দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠান সমূহ উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে এসেছেন।
নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায় ছাত্রলীগের সভাপতি আশাদুল হক চৌধুরী শাকিলের তত্ত্বাবধানে ও সাধারন সম্পাদক তুহিন ও কেন্দ্রিয় নেতা শুভর সহযোগিতায় ছাত্রনেতাদের মাধ্যমে উপজেলার অনেক জাইগায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট ও সমস্যা দূরীকরণে প্রয়োজনীয় খাদ্য সহ শুকনা খাবার সরবরাহ করেন ও কভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের প্রতিটি নির্দেশ বাস্তবায়নে তাদের নিয়মিত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। ছাত্র নেতাদের ধারনা সমাজ সেবাই তাদের ভূমিকা দেখে অন্যরাও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট ও সমস্যা লাঘবে ও দূরীকরণে এগিয়ে আসবে। সবাই এক সাথে সরকারের সাথে ঐক্য হয়ে কভিড-১৯ মোকাবেলার যুদ্ধে জয়ী হবে বলে আশা রাখেন রায়পুরার সকল ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করা এই ছাত্রনেতারা। 
রায়পুরা উপজেলায় অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির সাবেক এমপি মনোনয়ন প্রপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের তত্ত্বাবধানে ও পৌরসভা শ্রমিক নেতা মোঃ গোলাম মোস্তাফার সহযোগিতায় ও অন্যান্যদের প্রচেষ্টায় চলমান লকডাউনের মধ্যে সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়নে ও নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ যাদের প্রতিদিনের আয়ের টাকা দিয়ে প্রতিদিন চলতে হয়, বিভিন্ন চুক্তি ভিত্তিক কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন হয় এবং খাদ্য সংগ্রহের জন্য বাইরে যেতে হয় তাদের সমস্যা লাঘবে ও দূরীকরণে এগিয়ে এসেছেন ছাত্রদলের নেতারা। তাছারা রায়পুরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতির তত্ত্বাবধানে ও সাধারন সম্পাদকের সহযোগিতায় উপজেলার অনেক স্থানে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট ও সমস্যা লাঘবে ও দূরীকরণে তাদের মধ্যে খাদ্য ও শুকনা খাবার সরবরাহ করেন প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। 
ইতিমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ও পরিবহণে লিফলেট ও ব্যানারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর চেস্টা চালাচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবির কাউছার। রিয়াজুল কবির কাউছারের নেতৃবৃন্দ জনবহুল এলাকায় প্রথম থেকেই ভাইরাস মোকাবেলার জন্য ও করোনা থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা কেন্দ্রিক বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মানুষের হাতে জীবাণু নাশক স্প্রে করে এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জীবাণু নাশক ছিটিয়ে সরকারের সাথে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। 
কভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের সকল নির্দেশ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সবসময় কাজ করছেন ও সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন উপজেলার স্থানীয় সরকার ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগন। সর্বশেষ খবর মতে, রায়পুরা উপজেলায় করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও স্থানীয় জনসাধারণের অবাধে রাস্তাঘাটে, বাজারে চলাফেরা নিয়ন্ত্রনে কঠোর হতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে, অনেক বিদেশফেরত লোকজনকে খোজে বের করে কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনতে অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনকে। কিছুদিন লুকিয়ে থেকে ইটালি ফেরত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় কিছু লোকজন ডে-নাইট নিউজকে অবহিত করেছেন। 
সরকার বিদেশফেরত সবাইকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠাচ্ছেন, যারা সর্দি জ্বরে বা শ্বাসকষ্ট ও নিউমুনিয়ায় আক্রান্ত তাদেরকে নিজ দায়িত্বে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, যদি কেউ বেশি অসুস্থ হন ও করোনার লক্ষণ সমূহ থেকে থাকে তাহলে বিশেষ চিকিৎসার জন্য আলাদা আইসোলেশন ইউনিট করেছেন, প্রত্যেক নাগরিককে বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হতে নির্দেশ দিয়েছেন। কাজ শেষে ও শুরুতে জীবাণু নাশক দিয়ে হাত ধুতে বলা হচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব ও হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে বলা হচ্ছে। সকলে মিলে সকলের দেশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কভিড-১৯ মোকাবেলার যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। 

 

আরও পড়ুন

×