খাবারের জন্য তাদের আর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে না- সুজন

খাবারের জন্য তাদের আর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে না- সুজন

খাবারের জন্য রাস্তায় রাস্তায় আর ঘুরে বেড়াতে হবে না ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর চার সন্তানের জননী মকসেদা ও সহিদা কে।

উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকায় খাবারের জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন বালিয়াডাঙ্গীর ২ পরিবারের সদস্যরা শিরোনামে  এ সংবাদ প্রকাশের পর তাদের পাশে দাড়িয়েছেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলামের বড় ছেলে ও জেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা  মাজহারুল ইসলাম সুজন।

বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদটি দেখেই তিনি ১০ দিনের খাবার চাল, ডাল, আলু, চিনি, তৈল, সাবান, পিঁয়াজ, মরিচ, ফুল কপি, মুড়ি বিকাল ৫ টার মধ্যে, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্রসামগ্রী পৌছে দিয়েছেন তাদের বাড়ীতে।

উপজেলা তাতীলীগের সভাপতি সাদেকুল ইসলাম ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মুন্না এসব তাদের বাড়ীতে পৌছে দিয়ে আসেন।

গরীবের বন্ধু মাজহারুল ইসলাম সুজন জানান, একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংবাদটি আমার নজরে আসার সাথে সাথে তাদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তাদের বাড়ীতে পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।

(বালিয়াডাঙ্গী,হরিপুর) ঠাকুরগাঁও-২ আসনের খেটে খাওয়া প্রায় এক হাজার মানুষের মাঝে ইতিমধ্যে আমরা খাবার পৌছে দিয়েছি। বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের বাড়ীতে খাবার পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করছি। আপনারা ঘরে থাকুন, আপনি ও আপনার আশপাশের মানুষকে নিরাপদে রাখুন।

আমি বিদেশ থেকে ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছি। এটা না হলে আমি নিজেই তাদের বাড়ীতে খাবার নিয়ে যেতাম, খোজ খবর নিতাম। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে পাঁচদিন হলো খাবার নেই বাড়ীতে।

মকসেদা বলেন, ধার দেনা করে দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে কোনমতে খাবার খাইয়েছি। সকাল থেকে খাবার শেষ। কেউ সহযোগিতা করছে না। শুনেছি উপজেলা পরিষদে চাল, ডাল দিচ্ছে।

এখানে এসে শুনলাম সেগুলোও নাই। বাচ্চাগুলো সকাল থেকে মুড়ি খেয়ে আছে। এখন কি করবো, কিভাবে খাবার যোগাড় করবো বলে এক গণ মাধ্যমে এর বার্তা প্রধানকে জানিয়ছিলেন মকেসদা।

মকসেদার বাড়ী ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের কুশলডাঙ্গী (আমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বে) গ্রামে।

গেল ৪ মাস হলো তার স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনিও অসুস্থ্য। কাজ-কর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছিলেন তিনি। শহিদা একই উপজেলার সনগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন

×