রামু প্রতিনিধিঃ
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে রামুর অবহেলিত প্রতিবন্ধীদের পাশে দাড়িয়েছেন রামুর সুশীল সমাজদের নিয়ে গঠিত সংগঠন "মানবিক সৌর্হাদ্য "। বিবেকে তাড়নায় দেশের এই দুর্সময়ে নিজেদের অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতেই কিছু হ্নদয়বান মানুষের সমন্বয়ে মুলত "মানবিক সৌর্হাদ্য " গঠিত হয়েছে। উপার্জনের কিছু অংশ দিয়ে তহবিল গঠন করে প্রাথমিক পর্যায়ে রামুর ৫০ জন প্রতিবন্ধীর হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয় বলে জানা যায়। ইসলামি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে রামুতে ১৫০ জনের মতো প্রতিবন্ধী রয়েছে তৎমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ জন প্রতিবন্ধীকে ত্রাণের আওতায় আানা হয়। বাকিদের পর্যায়ক্রমে ত্রাণের আওতায় আানা হবে বলেও সংগঠনটির পক্ষথেকে জানানো হয়।
আজ রোববার (৫ এপ্রিল) রামু সরকারি কলেজ মাঠে মানবিক সেবামূলক সংগঠন "মানবিক সৌর্হাদ্য " এর সদস্যরা প্রতিবন্ধীর হাতে এই ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। ত্রান প্রদানকালে সংগঠনের সদস্যরা প্রতিবন্ধীদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া, মাক্স পরা,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা,ঘরে অবস্থান সহ করোনা সতর্কতা মেনে চলার আহবান জানান। পরে ৫০ জন প্রতিবন্ধীকে জনপ্রতি পাঁচ কেজি করে চাল,এক কেজি করে ডাল,দুই কেজি আলু,এক লিটার তেল,এক কেজি লবণ, একটি হুইল সাবান, একটি বাংলা সাবান, এক কেজি পিঁয়াজ এবং তাদের পরিবহন সহয়তার জন্য জনপ্রতি ১০০ টাকা করে প্রদান করা হয়।
প্রতিবন্ধীর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন রামু সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)আবদুল হক, নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এম এ কালাম সরকারি কলেজের অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া, রামু সরকারি কলেজের অধ্যাপক মোঃ ইজত উল্লাহ্, প্রভাষক মিজানুর রহমান, প্রভাষক দিবস বৈদ্য, প্রভাষক মোবারক হোসেন, সংগীত শিল্পী রেজাউল আমিন মোর্শেদ, আবু হানিফ মোহাম্মদ রোবাইদ, আওরঙ্গজেব টিপু, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
"মানবিক সৌর্হাদ্য"রামু'র অন্যতম উদ্দোক্তা নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এম এ কালাম সরকারি কলেজের অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া বলেন, "অনেক সময় দেখা যায় দুর্যোগকালীন সময়ে সমাজের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) জনগোষ্ঠী সরাসরি ত্রাণ সহযোগিতার বাইরে রয়ে যায়। এরা কিন্তু সমাজে তুলনামুলকভাবে বেশি অরক্ষিত থাকে এরকম দুর্যোগকালীন সময়ে। তাই আমরা এদেরকে সরাসরি সহোগিতার আওতায় আনার চিন্তা থেকেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করি।"
ত্রাণ পেয়ে আবেগে আপ্লূত হয়ে রামু মন্ডল পাড়া গ্রামের এক প্রতিবন্ধী আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রতিবেদককে জানান,"আজ আমি আনেক খুশি। আমরা বর্তমানে অনেক কষ্টে আছি। এই করুন পরিস্থিতিতে আমি আমার ইউনিয়নের ১৬ জন প্রতিবন্ধীর তালিকা নিয়ে অনেক জায়গায় গিয়েছি। কেউ সহায়তার হাত বাড়ায়নি। পরবর্তিতে আমি এনএসআই হানিফ ভাইকে এই দুঃখের কথা বলাতে তিনি রামুর হ্নদয়বান কিছু মানুষ নিয়ে আমাদের পাশে দাড়ান। আমরা সবার জন্য প্রাণখুলে দোয়া করতেছি।