প্রকাশিত: 09/04/2020
দিদারুল আলম জিসান
অপরাধের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক বিশ্ব সংবাদ পত্রিকার সংবাদকর্মী কে প্রাণনাশের হুমকি দিল দফাদার সৈয়দ আলম।
বান্দরবান জেলা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অন্তর্গত ঘুমধুম ইউনিয়নের দফাদার একের পর এক অপরাধ , দুর্নীতি, ঘুষবানিজ্য, চাঁদাবাজি গরিবের সম্পদ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। গাড়ি বাড়ি, জয়গা জমি সহ অনেক ব্যাংক ব্যালেন্সের মালিক । সে আইনি তোয়াক্কা না করে বলে বেড়াই, সব আমার টাকার নিচে, টাকার কাছে সব কিছু।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লোক বলেন, তাকে এলাকায় ছৈয়দ আলম বললে চিনে না, চিনে দুর্নীতি ও মাদক পাচারের ডন হিসেবে।
তার দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অতীতে অনেক সাংবাদিক তার কাছে লাঞ্ছিত হয়েছে বলে এলাকার পত্যক্ষদর্শী মানুষের কাছ থেকে জানাজায়। ঘুমধুমের দফাদারের কাছে জিম্মি অধিবাসীরা মিডিয়াকর্মীদের পেয়ে একের পর এক অমানবিক -অস্বাভাবিক দূর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন।
ভুক্তভোগী শুভ তংচংগ্যা জানান, মাদক ডন সৈয়দ আলম বিরুদ্ধে অপরাধ এর নিউজ করায় বৃহস্পতিবার (২এপ্রিল) বিকাল ৫.৫৭ মিনিতে হঠাৎ অপরিচিত মোবাইল নাম্বার থেকে কল করে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। কন্ঠ শুনে তদন্তপূৃৃর্বক জানতে পারি তিনি হচ্ছে দফাদার সৈয়দ আলম। ফোনে সে বলে প্রকাশিত নিউজ তুলে নিতে। যদি নিউজ তুলে নেয়া না হয়, তোমাকে আমার হাত থেকে বাঁচাতে কেউ পারবে না, তুমি ভালো করে জান যে,আমি অতীতেও অনেক অহেতুক মামলায় হয়রানি করেছি। এখনো একটা মামলায় অজ্ঞাত তিন জনের নাম খালি রয়েছে,সে স্থানে যেন তোমার নাম চলে না আসে, সেদিকে খিয়াল রেখে কাজ করিও। এইভাবে নানা রকম হুমকি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসাবে,এইভাবে প্রতিনিয়ত প্রাণে মারার হুমকি- দমকি দিতে থাকে। তিনি মোবাইলে আরো বলে, আমার সাথে জুরুরী ভাবে বরইতলী বাজারে দেখা কর! আমি তার সাথে দেখা করতে বরইতলী বাজারে যায়। বরইতলী বাজারে গেলে জন সম্মুখে উত্তেজিত হয়ে আমাকে অশালিন ভাষায় গালমন্দ করেছে। আমি নিরুপায় হয়ে বান্দরবান পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের কাছে এসব কর্মকান্ডে কথা তুলে ধরি। তারা আমাকে থানায় গিয়ে জিডি ও মামলা করতে পরামর্শদেন। সে অনুযায়ী নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় গিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করি, ঘুমধুমে তদন্ত কেন্দ্র গিয়ে একটা মানহানির অভিযোগ দায়ের করি।।।।