প্রকাশিত: 15/04/2020
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের সিন্ধান্তে গ্রামাঞ্চলের মানুষজন নিজ নিজ বাড়ীতে অবস্থান করছেন প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমুজুর, ভ্যানচালক, হোটেল মালিক-মেসিয়ার সহ নানা পেশাজীবি মানুষেরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
এ কারনে অনেকেই অর্থ কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এসব মানুষের মাঝে সরকারী ভাবে তাদের ঘরে খাবার পৌছে দিচ্ছে নিয়োমিত। তারপরেও সরকারী এসব অনুদান প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এ কারণে ব্যক্তি উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। সেই সাথে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ডিমলা উপজেলা আহবায়ক বাবু শৈলেন চন্দ্র রায়।
জানা যায়, উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এসব ছিন্নমুল অসহায় নি¤œ আয়ের মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতেই এগিয়ে এসেছে বাবু শৈলেন চন্দ্র রায়।
গতকাল এবং আজ ডিমলা উপজেলার দের শতাধীক পরিবারের সদস্যদের মাঝে বাড়ী বাড়ী গিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে খাবার পৌছে দিয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রানা ইসলাম, ইমরান হোসেন, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর রেজা, দেবন্দ রায় দিপু প্রমূখ।
উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক বাবু শৈলেন চন্দ্র রায় জানান, ডিমলা উপজেলায় ইতোমধ্যে দুইটি করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রামনে আক্রান্ত সনাক্ত হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার সেই এলাকা দু’টি লকডাউন করে দিয়েছে।
লকডাউনে থাকা পরিবার গুলো সহ তিস্তার অববাহিকায় চরাঞ্চল ও নিম্ন অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বসবাসকারী অতিদরিদ্র, হতদরিদ্র কর্মহীন ও অসহায় মানুষের পাঁশে থাকতেই ছুটে চলছি অসহায় মানুষের বাড়ী বাড়ী।
করোনা ভাইরাস এড়াতে প্রতিটি বাড়ী-বাড়ী গিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বিষয় আলোচনা করেন বাবু শৈলেন চন্দ্র রায়।
বাবু শৈলেন চন্দ্র রায়ের নিজ উদ্যোগে দের শতাধীক উল্লেখিত মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তাদের বাড়ী বাড়ী পৌছে দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, প্রতি পরিবারের জন্য প্যাকেজ হিসেবে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে - চাউল- ৫ কেজি , ডাল- ১/২ কেজি, তৈল-১/২ লিটার , আলু-২ কেজি করে দেয়া হয়েছে।