প্রকাশিত: 18/04/2020
কাঁচাবাজার ও মুদির দোকানে মানুষের গিজগিজ, মাছের বাজার হৈ হৈ। রাস্তায় রাস্তায় গল্প-আড্ডা। এমনই চিত্র ছিলো গত শুক্রবার। কিন্তু সে চিত্র বদলাতে এবং সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে গতকাল শনিবার পাইকার সবজি বাজার স্কুল মাঠে এবং খুচরা কাঁচাবাজার ও মাছ-মাংসের বাজার কলেজ মাঠে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল শনিবার সকালে দেখা যায়, প্রশাসনের নির্দেশানুযায়ী পাইকার সবজি বাজার বসানো হয়েছে সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং খুচরা কাঁচাবাজার ও মাছ-মাংসের বাজার বসানো হয়েছে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠে। দুটো মাঠে সারিবদ্ধভাবে দুরত্ব বজায় বসেছে বাজার। নেই লোকজনের গিজাগিজি। নেই হৈ হৈ। সকলে সামাজিক দুরত্ব বাজায় নিজেদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে ফিরে যাচ্ছেন। দোকানদাররাও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করছেন এবং ভিড় জমতে দিচ্ছেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতকরণ ও ঘরে থাকার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু শহরসহ গ্রামাঞ্চলের বাজারগুলোতে সবসময় ভিড় লেগেই থাকতো। এক বাজারেই সবজি, মাছ ও মাংসের দোকান হওয়ায় জনসমাগম ঠেকানো যাচ্ছিল না। এ কারণে পৌরবাজারের পাইকার সবজি বাজার স্কুল মাঠে এবং খুচরা কাঁচাবাজার ও মাছ-মাংসের বাজার কলেজ মাঠে বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাজারে বসেছে দুই শতাধিক অস্থায়ী দোকান। এছাড়াও গ্রামাঞ্চলের বাজারগুলো পার্শ্ববর্তী স্কুল মাঠগুলোতে বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ বাজার চলবে।
সবজি বিক্রেতা মো. হারুন, মোশারফ হোসেন ও শাহিন ইসলাম বলেন, মাঠে বাজার বসিয়ে ভালো কাজ করছে প্রশাসন। সবজির বাজার একেবারে গিঞ্জির মধ্যে ছিলো। দুই-চারজন লোক দাঁড়ালোই যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে যেতো। ফলে সৃস্টি হতো যানযট।
খুচরা মাছ ব্যবসায়ী মানিক হোসেন, খাইরুল ইসলাম ও মো. ফরিদ বলেন, মাছের বাজার মাঠে বসায় খুব ভালো হয়েছে। বড় মাঠ এতে দুরত্ব বজায় রেখে কেনাবেচা করা যাচ্ছে।
বাজার করতে আসা ক্রেতা শহিদুল ইসলাম, লিটন সাহা, ফরিদা ইয়াসমিন ও শামিমা নাসরিন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ধন্যবাদ প্রশাসন। এ উদ্যোগ প্রসংশনীয়। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব বা বিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করা অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়েছিল। কেউ মানছিল না সামাজিক দুরত্ব। মাঠে বাজার এসে সামাজিত দুরত্ব বাজায় রেখে কেনাকাটা করা যাচ্ছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে।