প্রকাশিত: 22/04/2020
ত্রানের দাবীতে ঝিনাইদহ সদর ও শৈলকুপায় কয়েক’শ কর্মহীন মানুষ অবস্থান কর্মসুচি পালন করেছে। বুধবার সকালে শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঝাউদিয়া আবাসন প্রকল্পের প্রায় তিন’শ মানুষ এই কর্মসুচিতে অংশ গ্রহন করেন। এবং দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলা কানায় ইউনিয়নে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে। এ সময় তারা ত্রানের দাবী নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে বসে পড়ে। তাদের ভাষ্য এ পর্যন্ত কেও তাদের ত্রান সহায়তা দেন নি। প্রথম দিকে ইকু নামে এক যুবক ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রান দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না। কাজ না করায় ঘরের খাবার ফুরিয়ে গেছে। নিরুপায় হয়ে ঝাউদিয়া আবাসনে বসবাসকৃতরা শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস চত্বরে অবস্থান নেয়। হতদরিদ্রদের অবস্থানের খবর পেয়ে বেরিয়ে আসেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তিনি আশ্বাস দেন ত্রান সহায়তা প্রদানের। আশ্বাস পেয়ে তারা আবাসনে ফিরে যান। উল্লেখ্য শৈলকুপায় প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ত্রান সহায়তা প্রদান করলেও তার ছিটেফোটা পৌছায়নি শৈলকুপা পৌরসভার ঝাউদিয়া আবাসন প্রকল্পে। আবাসনের লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই দানের খবর কেবল ফেসবুক জুড়ে। বাস্তবে অতিশয় হতদরিদ্র আর মধ্যবিত্তরা খুব কষ্টে আছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে আমি পৌরসভাকে ১৪ টন চাল দিয়েছি। সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। তবে সরকারী ত্রান পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজম। তিনি বলেন ব্যক্তি উদ্যোগে আমাকে মাত্র ৪ টন চাল দেওয়া হয়। আর বুধবার হতদরিদ্ররা আন্দোলন করার পর দুপুরে বরাদ্দ দিয়েছে ৫ টন। চালের সঙ্গে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও আমি কোন টাকা পায়নি বলে মেয়র অভিযোগ করেন।