প্রকাশিত: 24/04/2020
সারা বিশ্ব আজ করোনা ভাইরাসের আতংকে ভুগছে। বাংলাদেশও তাই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে একমাত্র যিনি মাঠে আছেন, যিনি শহরের প্রত্যেকটি এলাকায় দিনে ও রাতের আঁধারে অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন এবং খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি আর কেউ নয়-তিনিই কক্সবাজারে প্রিয় মুখ ডেইজী আপা। তিনি কক্সবাজারের দুঃখী ও অসহায় নারীদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিক কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মহিলা সমবায় সমিতি লিঃ চেয়ারম্যান ফাতেমা আনকিজ ডেইজী । এই নারী নেত্রী ফাতেমা ডেইজী ছাড়া এই করোনা পরিস্থিতিতে কোন নারী নেত্রী আজ মাঠে নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেন গরীব-দুঃখী ও অসহায় মানুষেরা।
সুত্রে জানা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশর কক্সবাজার নারী নেত্রী ফাতেমা আনকিজ ডেইজী নিজের বেতনের টাকা দিয়ে অসহায়দের জন্য নিজে সব সাধ্য মত কাজ করছেন কক্সবাজারবাসী জন্য। তিনি সব কিছুর সীমাবদ্ধতার মাঝেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সকলের পাশে থাকতে। এছাড়াও এই লকডাউনে নিজ হাতে অনাহারির মুখে খাবার দিতে ছুঁটে চলেছেন একঘর থেকে অন্য ঘর। শুধু দিনে নয়, রাতের বেলায়ও আরামের ঘুম হারাম করে দিন রাত পাড়া-মহল্লায় ছুটে চলেছেন তিনি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মহিলা সমবায় সমিতি লিঃ চেয়ারম্যান ফাতেমা আনকিজ ডেইজী জানান,একটানা লকডাউনের কারণে শুধু দিনমজুর বা হত দরিদ্ররাই নন,মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও খাদ্য সংকটে ভুগছেন। তারা না পারছেন কাউকে বলতে, না পারছেন চাইতে। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাতে মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে ত্রাণসামগ্রী তুলে দিয়েছেন। একটি মানুষও যাতে না খেয়ে থাকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই ব্যবস্থা করছি।
ফাতেমা আনকিজ ডেইজী বলেন, যতক্ষন জীবন আছে ততক্ষন কক্সবাজারবাসীর জন্য কাজ করবো। এটা আমার কর্তব্য। কারণ, যে ভালোবাসা সাধারন মানুষের কাছ থেকে আমি পেয়ে আসছি, তাতে আমি ঋনী। এই ঋণ শোধ করার মত নয়। তাই শুধু পাশে থেকে কিছুটা হাসি ফোটানো আর আল্লাহকে খুশি করার প্রয়াস মাত্র। আপনারা দয়া করে ঘরে থাকুন। খাবার নিয়ে চিন্তা করবেন না। প্রয়োজনে সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে হলেও মানুষকে না খেয়ে কষ্ট পেতে দিব না। কিন্তু আপনারা দয়া করে ঘরে থাকুন। আমরা সবাই এই যুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও আল্লাহর রহমতে জয়ী হবোই।
ফাতেমা আনকিজ ডেইজী আরো বলেন, বিশ্বনবী (সা:) বলেছেন, নিজে খাওয়ার আগে তোমার আশেপাশের ক্ষুধার্ত মানুষের খোঁজ নাও। তাই আমি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলবো, সব কিছু সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সমাজের মানুষ হিসেবে আপনারও কিছু যেমন দ্বায়বদ্ধতা আছে, তেমনি ধর্মীয়ভাবেও দ্বায়বদ্ধতা আছে। সংকটে পতিত এসব মানুষদের সাহায্য করে আপনি তাদের সাহায্য করছেন না, বরং নিজেকেই সাহায্য করছেন। কারণ, এসব মানুষ যখন আপনার উপহার পেয়ে তৃপ্তির হাঁসি হাঁসবেন আর মন থেকে খুশি হবেন, তখন সেটাই হবে আপনার জন্য বড় দোয়া, বড় পাওয়া। তাই আপনারা এই দুঃসময়ে একত্রিত হয়ে বা ব্যক্তিগতভাবে এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ান।