প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রাদর্ভাবে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ডিমলার ইউপি সচিবরা

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রাদর্ভাবে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ডিমলার ইউপি সচিবরা

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সরকারি চাকরি করেন এমন অনেকেই টানা ছুটি ভোগ করছেন। অথচ মাঠপর্যায়ের চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিবরা। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতেই গ্রামাঞ্চলের তৃণমূলে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবরা।

 

এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের সকল প্রকার দাপ্তরিক কাজ, রিপোর্ট, রির্টান প্রেরণসহ জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম ভিজিএফ,ভিজিডি,জি.আর, জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ,১০ টাকা কেজি চাল ও বতর্মান প্রেক্ষাপট প্রবাসীদের তালিকা, নারায়ণগঞ্জসহ অন্য জেলা থেকে আগত পরিবারের বাড়ি লকডাউন করে লাল পতাকা টানানোসহ হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, জ্বর,সর্দি, কাশি ব্যক্তিদের নিয়মিত রিপোর্ট প্রদানসহ সকল কাজ সুষ্ঠভাবে প্রণয়ন ও বিতরণ করে চলছেন এই সচিবরা। একই সঙ্গে ইউনিয়ন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করছেন ইউপি সচিবরা।

 

এসব সচিবদের অভিযোগ, করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে অন্যান্য বিভাগের লোকজন সরকারিভাবে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই পেয়ে থাকেন।

অথচ সরকারিভাবে পিপিই না পেয়ে ইউপি সচিবসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার,উদ্যোক্তা ও গ্রাম পুলিশরা ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। নিত্যদিন অফিস করে জনগণের দ্বারে দ্বারে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।

 

বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতির নীলফামারী জেলা বাপসার প্রচার সম্পাদক, ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আতিকুর ইবনে রহিম (মিলন) ও ডিমলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রবিউল ইসলাম জানান, সারাদেশের মতো ডিমলা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের জনগণের সার্বিক সেবা প্রদানে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের সার্বিক সুরক্ষা ও যাতায়াতের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর করোনাভাইরাস ঝুঁকিতে বিশেষ প্রণোদনা ও স্বাস্থ্যবীমা খাতে ইউপি সচিবদের অন্তুভুক্ত করনের জোর দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন

×