প্রকাশিত: 12/05/2020
জমিতে ধান পাকছে। ধান কাটার মজুর সংকট। অর্থ অভাবে কিংবা মজুর সংকটে ধান কাটতে না পারা কৃষকের একটি ফোনে সাড়া দিয়েই আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব লীগ ও ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা হাজির হচ্ছেন কৃষকের জমিতে। এমনটি চিত্র দেখা গেছে, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি’র দিকনির্দেশনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুশফিকুর রহমানের তত্ত¡াবধানে এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে নিজ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ক্ষেতের ধান কাটাই মাড়াই করে কৃষকের গোলায় ধান তুলে দিচ্ছেন তারা।
উপজেলা ছাত্রলীগের ৩০ জন, আওয়ামী যুবলীগের ২০ জন এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১০ জনের সমন্বয়ে ৬০ জনের ধান কাটাই-মাড়াইয়ের জন্য একটি স্বেচ্ছাশ্রম দল গঠন করা হয়েছে।
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলার এলুয়ারী ইউনিয়নের দামদরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটাই-মাড়াইয়ের দলটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গ্রামের জহুরুল ইসলামের ৪০ শতাংশ জমির ধান কাটাই-মাড়াইসহ গোলায় ধান তুলে দিচ্ছেন।
কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, জমির ধান পাকছে। মজুর সংকটের কারণে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ মনে পড়ে গত শুক্রবার (৮ মে) পার্শ্ববর্তী জোয়ার গ্রামের স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দেওয়া হয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবে ভাইস চেয়ারম্যানকে ফোন দিলে তিনি বলেন চিন্তার কারণ নাই। কালপশুই ধান কেটে দেওয়া হবে। সত্যি সত্যি গতকাল মঙ্গলবার জমিতে নেমে ধান কেটে ধান মাড়াই মেশিনে দিয়ে মাড়াই করে বস্তায় নিয়ে বাড়ীতে পৌঁছে দিতে শুরু করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। যেসব ছেলেরা লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে তারা তো কোনদিন মাঠে কাজ করার কোন অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকলেও তাদের ধান কাটাই-মাড়াইসহ বস্তা ভর্তি ধান গোলায় দিয়ে আসা পর্যন্ত সবকিছুই যেন এক অন্য রকম দৃশ্য।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, কৃষকের দুর্দিনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বসে থাকতে পারে না। কিছু একটা করা প্রয়োজন এই চিন্তা চেতনা থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল ও ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরীর সাথে পরামর্শে ধান কাটার সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী বলেন, এলাকার সংসদ সদস্যের দিকনির্দেশনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুলের তত্বাবধানে একটি স্বেচ্ছাশ্রম কৃষকদের ধান কেটে দেওয়ার দল গঠন করা হয়েছে। কৃষকের ফোন পেলেই নেতাকর্মীদের নিয়ে ধান কেটে দেওয়া হচ্ছে। এ স্বেচ্ছাশ্রম অব্যাহত থাকবে। কোন কৃষকের-ই ধান জমিতে পরে নষ্ট হবে না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুশফিকুর রহমান বাবুল বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি মহোদয়ের সার্বিক দিকনিদের্শনায় স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটাই-মাড়াই দল গঠন করা হয়েছে। ফোন পেলেই কৃষক পেলেই তার বাড়ীতে হাজির হয়ে ধান কেটে গোলায় তুলে দেওয়া হবে।