প্রকাশিত: 12/05/2020
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শান্তিনিকেতন গ্রাম ৷ভক্তপ্রবর শ্রীমৎ সুবল সাধুর স্মৃৃতি ঘেরা প্রিয় জন্মভূমি তাঁর ৷সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের তীর্থভূমি এই শান্তিনিকেতন গ্রাম ৷অনেক মঠ মন্দির এই গ্রামে সুপ্রতিষ্টিত ৷শান্তিনিকেতন গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে ইছামতি নদী ৷সারাবছর শান্ত ,স্নিগ্ধ এই নদী ৷যখন বর্ষাকাল আসে এই নদী ভয়াল রুপ ধারন করে ৷পাহাড়ী ঢলে এই নদী তখন অন্য রুপ ধারন করে ৷পানির স্রোতে নদীর কূলের মানুষগুলো অসহায় হয়ে পড়ে ৷বর্তমান মা ইছামতি মন্দির গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় অবস্থিত ৷তখন পানির ঢলে পাড়াটি বিলীন হতে চলল এমন অবস্থা ৷ঠিক সেই মুহুর্তে দক্ষিন পাড়ার একজন ভক্তপ্রবর শ্রী রতন দে প্রকাশ বাম্পার রতন তৎকালীন কয়েকজন গুরুভ্রাতাকে নিয়ে ইছামতি মাতৃদেবীকে স্থাপিত করার উদ্যেগ নেন ৷প্রতিবছর মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথীতে মহাবারুনী স্নান উপলক্ষ্যে মহোৎসব উৎযাপিত হয় ৷ধীরে ধীরে কাঁচা বেড়ার মন্দির টি পাকা মন্দিরে রুপ নেয় ৷মন্দিরের ভূমিদাতাদের মধ্যে ভক্তপ্রবর শ্রদ্ধেয় শ্রী দিপাল দে স্মরনীয় হয়ে থাকবেন ৷পাকা মন্দিরের প্রথম ছাদ ঢালাইয়ের জন্য ইছামতি একতা সংঘের একঝাঁক মাতৃভক্ত ক র্মীবৃন্দ দায়িত্ব নেন ৷অল্পদিনের ভিতর সন্মানিত দাতাদের সহায়তায় সে কাজ সমাপন করেন ৷এরপর তারা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন মা ইছামতি কিভাবে ২য় তলায় প্রতিষ্টিত হবেন ৷সিদ্ধান্ত হয় নিচে হবে মহোৎসব ,উপরে মায়ের বিগ্রহ স্থাপন হবে ৷এবার সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু হয় ৷আস্তে আস্তে সবগুলো পিলারের কাজ সমাপন হয় ৷এবার ছাদ ঢালাইয়ের পালা ৷আর্থিক সংকটের কারনে সেই কাজ কিছুটা স্থবির হয়ে পড়ে ৷মায়ের ইচ্ছাতে সেই কাজের যোগান দিতে এগিয়ে আসেন মাতৃভক্ত সন্তান শান্তিনিকেতন গ্রামের কৃতি সন্তান প্রবাসী শ্রী বিষ্ণুপদ দে এবং টিপু দে ভ্রাতৃদয় ৷তাদের স্বর্গীয় পিতা শ্রী পরিমল দে এবং মাতৃদেবী শ্রীমতি রুপনা রানী দে মহোদয়ার স্মৃতি স্বরুপ ২য় তলার কাজের সম্পুর্ন দায়িত্ব নেন ৷মাতৃভক্ত শ্রী বিষ্ণু দে এবং শ্রী টিপু দের এই মহাযজ্ঞে মন্দিরের কার্যকরী পরিষদ এবং গ্রামবাসী আন্তরিক সাধুবাদ জানান ৷
শান্তিনিকেতন সার্বজনীন শ্রী শ্রী ইছামতি মাতৃ মন্দিরের কার্যকরী পরিষদের বর্তমান সভাপতি শ্রী রনি দে এবং সম্পাদক শ্রী অজয় দে বলেন এই মন্দিরের এখনো অনেক কাজ বাকী আছে ৷এই কাজ গুলো সমাপন করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন ৷
বৈশ্বিক এই করোনা মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা সেই কাজে হাত দিবো ৷
তাই সকল সনাতনি বিত্তবান এবং সনাতনী ভক্তবৃন্দের চরণে অনুরোধ থাকবে এই মন্দিরের বাকী কর্মযজ্ঞ গুলো সমাপন করতে সকলের আর্থিক সহযোগীতা এবং সুপরামর্শ কামনা করছি ৷
মন্দিরে প্রতিদিন ব্রাক্ষ্মন পুরৌহিত দ্বারা পূজা অর্চনা করা হয় ৷বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা নিয়মিত এসে তাদের মানত করা দ্রব্য সামগ্রী নিবেদন করেন ৷
মা ইছামতি সকলের মনোবাসনা পূর্ন করুন ৷মায়ের জয়জয়াকার হউক ৷