প্রকাশিত: 13/05/2020
ফোনে ফোনে সাড়া পড়ছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি’র নির্দেশনায় গঠিত আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটা টিমের।
স্বেচ্ছায় ধান কাটা হচ্ছে এমন প্রচারেই ফোনের পর ফোন আসছে কৃষকদের। তাদের দাবি, ‘হামারো ধান কাটি দাও বাহে’। এমনি সাড়া পড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুশফিকুর রহমানের তত্ত¡াবধানে এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নে ৮ টি স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটার টিম গঠন করা হয়েছে।
টিমের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতি লীগ ও ছাত্র লীগের নেতৃবৃন্দ। ফোন পাওয়া মাত্রই নেতাকর্মীরা ছুটছেন কৃষকের জমিতে।
সরেজমিনে গতকাল দৌলতপুর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে দেখা যায়, সাদা গেঞ্জি পড়ে কাদামাখা জমিতে ধান কাটতে নেমেছেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। দুই বিঘা জমির ধান কাটছেন, সেই ধান ঘাড়ে বহণ করে কৃষকের বাড়ির খোলায় গিয়ে মাড়াইসহ গোলায় ধান তুলে দিচ্ছেন সেই স্বেচ্ছাশ্রমে গঠিত ধান কাটা টিম।
কৃষক মো. আলম মিয়া বলেন, দুই বিঘা জমিতে ধান পড়ে ছিলো। দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছিলো আমার। বিভিন্ন জায়গায় শুনলাম এলাকার এমপি মহোদয়ের নির্দেশে তৈরি স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটা টিমকে ফোন করলেই তারা এসে ধান কেটে দিচ্ছেন। ফোন করা মাত্র তারা ধান কেটে দিতে রাজি হন। তারা রীতিমতো এসে জমির ধান-মাড়াইসহ গোলায় ধান পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।
তিনি আরো বলেন, যারা এই দূর্যোগকালে ধান কাটছেন তারা কেউ-ই এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট না। তবুও তারা স্বেচ্ছায় ধান কাটছেন সে জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ তাদের।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, কৃষকের দুর্দিনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বসে থাকতে পারে না। ছাত্রলীগকে সার্বক্ষণে মানুষ নানান কথা শুনিয়ে থাকেন কিন্তু আমাদের এই কর্মকাÐগুলো কারো চোখে পড়েনা। এমপি মহোদয়ের নির্দেশনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল ও ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরীর সাথে পরামর্শে বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথকভাবে ধান কাটছে ছাত্রলীগ।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী বলেন, ফোন কলে সাড়া পাওয়ায় এলাকার সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি মহোদয়ের নির্দেশনায় বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথক পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে। ফোন পাওয়া মাত্রই তারা ছুটে যাচ্ছেন ধান কাটতে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুশফিকুর রহমান বাবুল বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া কৃষকের ফোন কলে সাড়া পাওয়ায় আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতি লীগ ও ছাত্র লীগের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নে ৮ টি স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটার টিম গঠন করা হয়েছে। কৃষকের ফোন পাওয়া মাত্র’ই ছুটে যাটে স্বেচ্ছাশ্রমে গঠিত টিমগুলো।