প্রকাশিত: 16/05/2020
যশোরের শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌরসভায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন স্বল্প পরিসরে, স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ মেনেই দোকানপাট খোলার অনুমতি দিলেও, উপজেলার ছোট বড় সকল বাজারের ব্যবসায়ীরা সরকারের সেই নির্দেশনা না মেনেই বেনাপোল, নাভারন, শার্শা ও বাগআঁচড়ায় উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে ঈদের কেনাকাটা। বেশিভাগ মার্কেট বা দোকানের সামনে নেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা সমগ্রী বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন নির্দেশনা।সামাজিক দুরুত্ব কি সেটাই অনেকে বোঝেনা।অনেকে আবার মাক্স পরাকে সামাজিক দুরুত্বে থাকা বলে দাবি করছেন। অধিকাংশ বাজার ঘুরে মাক্স না পরে কেনাকাটা করতে আসা বেশিভাগ মানুষকে দেখা গেছে। করোনার প্রভাব যেন তাদের স্পর্শ করতেই পারেনি।বরং দেড় মাস পর রাস্তার পাশের হকার থেকে শুরু করে ছোট-বড় মার্কেট ও শপিংমলে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। উপজেলার সব দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট খুলে দেওয়ার পর পরই আতঙ্কে আছে সচেতন মহলের মানুষ সমাগম আর হালকা যানবাহনে পুরনো চেহারা ফিরে পেয়েছে শার্শা। করোনা ঝুঁকি আমলেই নিচ্ছেন না এখানকার মানুষ। ব্যবসায়ীরা সরকারি বিধিনিষেধ মেনে ব্যবসা পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তব চিত্র উল্টো। আর শপিংমলের সামনে জীবাণুনাশক বুথ বসানোর কথা থাকলেও সেটা হয়নি। পরিবার থেকে শিশুদের নিয়ে বাজারে আসতে নিষেধ করা হলেও তা মানছেন না ক্রেতারা। একের অধিক লোকজন এক সাথে হুমড়ি খেয়ে মার্কেটগুলোতে প্রবেশ করছেন। তবে, বরাবরের মতো এবার ঈদের কেনাকাটায়ও পুরুষের তুলনায়, ঈদ মার্কেটে নারীদের আনাগোনা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনেই তারা দোকানদারি করছেন তারা । করোনার প্রভাবে অন্যান্য বছরের থেকে এবারের ঈদে মার্কেট গুলোতে লোক সমাগম অনেক কম। বেচাকেনাও হচ্ছে তুলনামূলক অনেক কম, করোনার প্রভাব কমে গেলে বিক্রি বাড়বে বলে তিনি আশা করেন।
বেনাপোলের লালমিয়া সুপার মার্কেট, নূর শপিং কমপ্লেক্স, রহমান চেম্বার, শাহজাহান মার্কেট, ডাবøু মার্কেট, হাজি মোহাম্মদ উল্লাহ মার্কেট, হাইস্কুল মার্কেট, হিরা সুপার মার্কেট, নাভারনের নিউ মার্কেট, তালেব প্লাজা, সোনালী মার্কেট, বাগআঁচড়ার নিউ মার্কেট, আঁখি টাওয়ার, সুফিয়া প্লাজা, রহমান মার্কেট, বাবু মার্কেটসহ বেশির ভাগ মার্কেটে উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যেই চলছে ঈদের কেনাকাটা।
এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের নির্দেশনা মেনে চলতে প্রচার, প্রচারণা চালানো হচ্ছে জানিয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিংমলসমূহ সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা যতক্ষন থাকছি, ততক্ষন সবাই আইন মানছে। চলে আসলেই পূর্বের ন্যায়, মানুষ নিজ থেকে সচেতন না হলে তাদের কে সচেতন করা মুসকিল। তবে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান তিনি।