প্রকাশিত: 16/05/2020
লক্ষীপুর সদর উপজেলায় কবির হোসেন লিটন (৪৮) নামে এক কথিত আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা ও সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৬ মে) দুপুরে সদর উপজেলার চররুহিতা গ্রামের কবিরাজ বাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, লিটন উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি ৬নং ওয়ার্ডে একটি পাঞ্জেগানা মসজিদের জমি দখলে নিতে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা চালায়। কিন্তু সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বিনা রক্তপাতে গ্রামবাসী সন্ত্রাসী হামলা পন্ড করে দেয়। সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে থাকা কবির হোসেন লিটন একাই গ্রামবাসীকে হুমকি-ধমকি দেন এবং নিজেকে সদর থানা আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত নেতা আবুল খায়েরের অনুসারী বলে দাবি করেন। এসময় ঘটনার পরিস্থিতি ভিডিও করায় উপস্থিত সাংবাদিকের ওপর চড়াও হয়ে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায় লিটন। কিন্তু গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে সন্ত্রাসীদের এই নেতা পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।
চররুহিতা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মামুন পাটওয়ারী বলেন, কবির হোসেন লিটনকে সাংবাদিকের ওপর চড়াও হতে দেখে আমরা তাকে থামানোর চেষ্টা করি।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল খায়ের বলেন, কবির হোসেন লিটন আমার আত্মীয়। সে সাংবাদিকদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে বলে শুনেছি, তা ঠিক হয়নি। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১৫ মে) দুপুরে সদর উপজেলার চররুহিতা গ্রামের কবিরাজ বাড়িতে একটি পাঞ্জেগানা মসজিদের জমিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কয়েক জন আহত হন। এ নিয়ে লক্ষীপুর সদর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এতে আহতরা হলেন- নুর নাহার বেগম (৪৫), মিনোয়ারা বেগম (৪০), আল আমিন (২৪) রতœা বেগম (৪০), রহিমা খাতুন (৬০), রায়হান (২৩), ইউনুস (১৮)। আহতরা ল²ীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনার রেশ ধরেই আবারও সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয় একটি পক্ষ।
ল²ীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু নাছের জানান, পাঞ্জেগানা মসজিদকে কেন্দ্র করে দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ ও হুমকি-ধমকির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।