প্রকাশিত: 22/05/2020
মনোবল শক্ত রেখেছি। হোম আইসোলেশনে স্বামী স্ত্রী দুজনে হাসি খুশি থাকার চেষ্ঠা করেছি। মনে সাহস রাখলে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাকে জয় করা অসম্ভব কিছুনা। কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে ও তাঁর স্ত্রী অনামিকা পাল শম্পা।
টানা ১৮ দিন করোনার সঙ্গে যুদ্ধের পর গত বুধবার (২০ মে) সকালে দম্পতিকে সুস্থ ঘোষণা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
বুধবার দুপুরে এই দম্পতি বলেন, ‘করোনা টেস্টে “পজিটিভ” শুনলাম। এই সময়ে পরিবারের কেউ কাছে না থাকায় কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। তবে মনে সাহস রেখেছি। সৃষ্টিকর্তাকে মনেপ্রাণে স্মরণ করেছি। চিকিৎসকের পরামর্শে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছি। আশির্বাদ চেয়েছি পরিবার, বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীদের কাছে। সবার ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণায় আমরা সুস্থ। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে বলেন, ” ” করোনাকালে কর্মহীন ও দুস্থদের সরকারি ত্রাণ বিতরণ করতে একটি ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে দেয়া হয়। মানবিক সহায়তার তালিকা তৈরি করতে যাছাই বাছাই ও ত্রাণ বিতরণের জন্য সব সময় ওই ইউনিয়নে যেতে হয়েছিল। তাছাড়া মাছের রোগ দেখা দেয়ায় মাঠ পর্যায়ে বেশ কয়েকবার কয়েকটি খামারী পুকুরে যেতে হয়েছিল। বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে থাকার কারনে সন্দেহ করে নমুনা পরীক্ষা দিয়েছি। আমার মাথা ব্যাথা ছিল। সামান্য জ্বর থাকায় আমার স্ত্রীরও একসাথে নমুনা দেয়া হয়। দুজনের করোনা পজিটিভ আসে। হোম আইসোলেশনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছি। জিংক ট্যাবলেট, ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেয়েছি। সব সময় আদা, লবঙ্গ কালোজিরা, তেজপাতা লেবু দিয়ে ফুটানো পানি খেয়েছি। গরম পানির ভাপ নিয়েছি, গারগল করেছি। মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের স্যারেরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছেন এবং সাহস দিয়ে গেছেন। ইউএনও মহোদয়, সহকর্মী ও ব্যাচমেটরা সব সময় খোঁজ খবর রেখেছেন।। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি আবারো কর্মস্থলে ফিরে যাবো। ”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এ মাসের ৩ তারিখ তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১০ মে ফলাফলে পজিটিভ পাওয়া প্রতিবেদনে তাঁদের করোনা শনাক্ত হয়। বাড়িতেই আইসোলেশনে রেখে দুজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পর পর দুইবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল ‘নেগেটিভ’ আসে। এরপরই তাঁদের সুস্থ ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা রাজীব পালিত বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় এই মাসের ২ তারিখ থেকে বৃহষ্পতিবার(২১ মে) পর্যন্ত ২৮ জনের করোনা পজিটিভ আসে এবং এর মধ্যে একজন মারা যান। এই দম্পতি ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তারসহ ৪ জন সুূস্থ হয়েছেন ৷