প্রকাশিত: 30/05/2020
ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর হয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানিকৃত বিভিন্ন পন্য নিয়ে আসা ১৯ ট্রাকচালককে দুই মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও ফেরত নেয়নি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ফলে অনাহারে,অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে এসমস্ত চালক ও খালাসীরা।
বাংলাদেশে আমদানি কারক ও স্থানীয় সি এন্ড এফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা করোনাভাইরাস দুর্যোগে ভারতীয় ট্রাকচালকদের নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবহিত করা হলেও কোন ফলপ্রসূ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বেনাপোল সি এন্ড এফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, ভারতে লকডাউন ঘোষনার আগের দিন গত ২০ শে মার্চ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে শিল্প কারখানার কাঁচামালসহ বিভিন্ন ধরনের পন্য নিয়ে আসে ট্রাক চালকরা। কিন্তু পন্য বেনাপোল বন্দরে খালাসের পর থেকে ট্রাক ও চালকদেরকে নিজ দেশে ফেরত নেয়নি ভারত।
ভারতের উত্তর প্রদেশে বাড়ি ট্রাক চালক সীতারাম বলেন,আমরা বাংলাদেশে এসে আটকে পড়েছি। পেট্রাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের নিচ্ছে না। খেয়ে না খেয়ে গাড়িতেই ঘুমাচ্ছি। হোটেল বন্ধ থাকায় নিজেদেরই রান্না করে খেতে হচ্ছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারছি না। কাছে যা টাকা পয়সা ছিল অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। বেনাপোল বন্দর,কাস্টমস ও সি এন্ড এফ এজেন্টের লোকজন মাঝে মাঝে কিছু খাদ্য সহয়তা করে,তাতে জীবন চলে না।
মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর সি এন্ড এফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্ক ও ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় গাড়ি ও চালকদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আমরাও কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করছি। অনুমতি পেলেই ভারতীয় চালকরা ট্রাকসহ বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসবে।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ডিডি) মামুন কবির তরফদার বলেন,বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থলবন্দরের ইয়ার্ডের ভেতরেই ট্রাক ও চালকদের রাখা হয়েছে। বন্দর,কাস্টমস ও সি এন্ড এফ এজেন্টরা চালকদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। চালকরা নিজেরাই রান্না করে খাচ্ছেন।
দ্রুত সমস্যা সমাধানে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি। অনুমতি পেলে যে কোন মুহর্তে চালক ও ট্রাক গুলো ফেরত পাঠানো হবে।