প্রকাশিত: 17/06/2020
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) গোটা বিশ্বকে যেন অচল করে দিয়েছে। বাংলাদেশেও দিন দিন নতুন আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। করোনার সঙ্গে মানুষের লড়াই এখন জীবন-মৃত্যুর।
এ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সারা বিশ্বের চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা। তারাই প্রাণঘাতি এই করোনা ভাইরাসকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
অপর দিকে- করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে অনেক চিকিৎসকই চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছেন অথবা সু-কৌশলে সরে গেছেন।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় করোনা উপেক্ষা করে হাতে গোনা যে দু-চারজন চিকিৎসক নিয়মিত রোগী দেখছেন। তার মাঝে ডাঃ মোঃ আহসানুল বারী (টিটুল)। তিনি ঝুঁকির মধ্যেও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছেন।
ডাঃ মোঃ আহসানুল বারী (টিটুল) ডি.এম.এফ, ডি.এম.এ, ডি ইউ. এম.এস (ইন-কোর্স) (ডঃ আব্দুল গণি ইউনানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রংপুর) উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডিমলা শাহাম্মদ আলী ডায়াবেটিক এ্যাসোসিয়েশন,জেনারেল প্রাকটিশনার মা ও শিশু, মহিলা এবং পুরুষের সকল ধরনের রোগের সু-পরামর্শের সাথে সু-চিকিৎসা প্রদান করছেন।
ডিমলা শাহাম্মদ আলী ডায়াবেটিক এ্যাসোসিয়েশনে প্রতি শনি হতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের দায়ীত্বপালনের পরে তিনি বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নিজস্ব প্রাইভেট চেম্বারে (আলী ফার্মেসী ডিমলা বাবুরহাট বাজার) রোগী দেখেন।
সেখানে নাক, কান, গলা চর্ম, যৌন, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, ডায়াবেটিক ও বাত ব্যাথা রোগের চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে রোগীরা আসেন ডাঃ মোঃ আহসানুল বারী (টিটুল) এর কাছে।
ডাঃ মোঃ আহসানুল বারী (টিটুল) বলেন- রোগীর সেবা করার জন্যই আমি ডাক্তারি পেশায় এসেছি। এই করোনা পরিস্থিতিতে আরো বেশী দায়িত্বশীল হওয়া আমার প্রয়োজন। আমি যদি জনগণকে চিকিৎসা না দেই তাহলে তারা যাবে কোথায়। তাই আমি মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
ডাঃ মোঃ আহসানুল বারী (টিটুল) জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ডিমলা উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।