প্রকাশিত: 21/06/2020
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগী ভর্তির চাপ বাড়ছে। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে রয়েছে জনবল সংকট। একই ভবনে করোনা ও সাধারন রোগী থাকায় ঝুঁকি রয়েছে জানালেন চিকিৎসকেরা।
তবে করোনা রোগীদের আলাদা ভবনে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিক্যাল অফিসার) ও করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন মো. ফোরকান উদ্দিন সিকদার বলেন, " হাসপাতাল আইসোলেশনে করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭ জন। ১৭ মে থেকে করোনা রোগী ভর্তি করা হয়।
এর মধ্যে পুলিশসহ ৫ জন হাসপাতাল আইসোলেশন থেকে সুস্থ হয়ে চলে যান। উপজেলায় করোনা সংক্রমনের হার বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতাল আইসোলেশনে সুস্থ করোনা রোগীর অনুপাতে ভর্তির হার বাড়ছে।
গত মাসে ৩ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি করা হলেও রোগী বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ১৫ শয্যার পুরুষ ওয়ার্ডকে করোনা ওয়ার্ড করা হয়েছে। সাধারণ রোগী কম থাকায় নারী ও শিশু রোগীকে এক ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্য ওয়ার্ডে পুরুষ রোগী রাখা হয়। হাসপাতালের ৩য় তলায় করোনা ওয়ার্ডে ৫ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্য দুইজন আইসোলেশন কক্ষে রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, সাধারণ রোগীর সাথে অনেক সময় করোনা রোগী মিশে যান। করোনা রোগী অনেক সময় হাসপাতালের নিচে ঘোরাফেরা করেন।
এসব কারনে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাধারণ রোগীদের জন্য ঝুঁকি রয়েছে। করোনা রোগী আলাদা ভবনে রাখা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
হাসপাতালে জনবলের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যালয় সহকারী মো. শাখাওয়াত বলেন, গত দুই মাসে ৬ জন চিকিৎসক, ৩ জন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার, একজন ওয়ার্ডবয় ও দুইজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী সংযুক্তিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে চলে যান।
চিকিৎসা দিতে গিয়ে এক মাসে দুইজনউপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার, একজন কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) ও একজন স্বাস্থ্য সহকারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেহানুল ইসলাম বলেন, " করোনা পরিস্থিতির কারনে সব জায়গায় জনবল সংকট রয়েছে।
করোনা রোগী ভর্তি হওয়ার কারনে কিছুটা জনবল সংকট রয়েছে। করোনা রোগীদের আলাদা ভবনে আইসোলেশনে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।