প্রকাশিত: 26/06/2020
ঝিনাইদহে অভ্যন্তরীন বেরো ধান সংগ্রহ’র লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হচ্ছে না। সরকারি মুল্য থেকে বর্তমান বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় এবারের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ না হওয়ার আশংকা করছে সংশ্লিষ্টরা।জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ আনোয়ারুল কবির জানান, এ বছর জেলার ৬ উপজেলা থেকে ১৪ হাজার ১৪২ টন ধান সংগ্রহ’র লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মাত্র ১’শ ২১ টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। কার্ডধারী, এ্যাপসের মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষক এবার ধান দিচ্ছে না। যার মুল কারণ হিসেবে ধরণের বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করছে না।কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একমাস আগে বোরো ধান ঘরে তুলেছেন কৃষক। ভরা মৌসুমেও প্রকার ভেদে ধানের দাম ১ হাজার থেকে ১২’শ টাকা বিক্রি হয়েছে। বর্তমান বিভিন্ন হাটবাজারে একই দামে ধান বিক্রি হচ্ছে। এবার সরকারি সংগ্রহ মূল্য ধার্য করা করা হয়েছে প্রতি কেজি ২৬ টাকা। অর্থাৎ প্রতি মন এক হাজার ৪০ টাকা। যে কারণে কৃষক ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করছে।সদর উপজেলার হাটগোপালপুরের কৃষক নাজির উদ্দিন বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করলে পাব ১ হাজার ৪০ টাকা। সেখানে গেলেও ধান ভিজা আছে, চিটা আছেসহ নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। এখন বাজারে ধানের দাম বেশি বলে ধান বিক্রি করে দিয়েছি।শৈলকুপার খন্দকবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক নবিদুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বছর ধানের দাম কম হওয়ার কারণে আমরা ধান বিক্রি করতে গেলে দালাল চক্র আমাদের ধান বিক্রি করতে দিত না। তাই এবার ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমরা ধান দিচ্ছি না।জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, অভ্যন্তরীন বোরো ধান সংগ্রহ’র লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হচ্ছে না এটা ঠিক তবে। ধান সংগ্রহ’র অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যে কৃষকের ধানের ন্যায্য মুল নিশ্চিত করা। কৃষক ধানের দাম ভালো পেয়েছে এটাই ভালো।এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ^াস জানান, চলতি বছর এ জেলায় ৭৭ হাজার ৫৩৫ হেক্টরে বোরো চাষ হয়েছে। আর ধান উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ টন। ঘুর্ণি ঝড় আম্পানে বেশ কিছু ধানের ক্ষতি হয়েছে। তবে বেশি না। এবার কৃষক ধানের দাম ভালো পেয়েছে। এতে ঘুর্ণি ঝড় আম্পানের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে। আর দাম ভালো পাওয়ায় আগামীতে ধান চাষে তারা আগ্রহী হবে।