প্রকাশিত: 26/06/2020
গত ছ মাসের ২৫ তারিখ করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে মারা যান পল্লি চিকিৎসক ও ওষুধ ব্যবসায়ী মো. পারভেজ (৩৬)। তাঁর রেখে যাওয়া ৪ বছরের অবুঝ তিন যমজ শিশুকন্যা এখনো বলতে রেন না তাঁর বাবা আর নেই। বাবাকে এখনো বেড়ায় তাঁরা।
বাবা ছাড়া মায়ের মমতায় বেড়ে উঠবে এই অবুঝ তিন শিশু। কিন্তু তাঁদের মায়ের একটাই চিন্তা তাঁদের ভবিষ্যত কিভাবে চলবে। তাঁদের কোনো সহায় সম্পদ নেই। কোন টাকাও জমা নেই। মো. পারভেজের বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা- কদমতলী ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে। প্রয়াত পারভেজের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পল্লি চিকিৎসক মো. পারভেজের চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন এলাকায় ওষুধের দোকান ছিল। পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসাও দিতেন। ওখানে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। ১৯ মে থেকে তাঁর করোনা উপসর্গ শুরু হয়। ওইদিন থেকে তিনি নিজেই ভাড়া বাসার আলাদা একটি কক্ষে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখেন। তিনদিন থাকার পর তাঁর অবস্থার অবনতি দেখা দেয়। ২২ মে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরদিন ২৩ মে নমুনা পরীক্ষায় পারভেজের প্রতিবেদন পজিটিভ আসে। ২৪ মে হাসপাতালের আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৫ মে রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পারভেজ মারা যায়। পরদিন ২৬ মে রাঙ্গুনিয়ার কদমতলী গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আল মানাহিল ফাউন্ডেশন নামে একটি
মারা যাওয়ার এক মাস হলো। এখনো তিন যমজ শিশু কন্যা নাবিলা, এলিনা ও ফারিয়া বাবাকে খুঁজে বেড়ায়। এই তিন শিশু কন্যার বাবা যে বেঁচে নেই ।
পারভেজের মা হাজেরা বেগম (৭০) বলেন , " পারভেজ পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাঁকে হারিয়ে অসহায় আমরা"। পারভেজের স্ত্রী ইয়াছিন আক্তার ( ২৮) বলেন, হঠাৎ স্বামীর চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নেয়া যাচ্ছেনা। তিন যমজ শিশুকন্যার ভবিষ্যত কি হবে সেই চিন্তায় আছি। পারভেজের স্বজন মো. মহিউদ্দিন মহিম বলেন, পারভেজের অকাল মৃত্যু পুরো পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে। আপনাদের একটু সহযোগিতা তিন যমজ শিশু কন্যার মুখে হাসি ফুটাবে।