প্রকাশিত: 02/07/2020
চট্রগ্রাম জেলার রাংগুনিয়া উপজেলার কদমতলি গ্রামে অবস্থিত শতাব্দীর প্রাচীনতম বৌদ্ধ বিহার ধর্ম্মান্কুর বৌদ্ধ বিহার। ১৮৮০ সালে তদান্তীন চাকমা রাজা ভুবন মোহন রায় বাহাদুর এর মুহুরী কদমতলি গ্রাম নিবাসী প্রয়াত শুভংকর বড়ুয়াধু(মুহুরী), এলাকার সমাজসেবক প্রয়াত ডা: নব কুমার বড়ুয়া ও সমাজসেবক রমনী মোহন বৈদ্যের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই বিহারটি নির্মিত হয়।
বিহারটি এতদঞ্চলের ধর্মীয় ঐতিহ্য হিসাবে স্ব-নামে দাঁড়িয়ে আছে তার নিজস্হ মাতৃপীঠে। কিন্ত সড়কের প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটি জরাশীর্ণ থাকায় দায়ক দায়িকাদের চলাচল বেশ অসুবিধা হতো।
অবশেষে রাংগুনিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৪৮ লাখ ৪০ হাজার ৯৯১ টাকা ব্যয়ে ৩০০ মিটার কাটাখালি খাল সাইট( কদমতলি ধর্ম্মান্কুর বৌদ্ধ বিহার) পাকা সড়কটি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে নির্মিত হলো।
গত ১৫ জুন এই সড়কের নির্মান কাজ শেষ হয়ে বলে জানান, রাংগুনিয়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী দিদারুল আলম।
বিহারের বিহারধ্যক্ষ ভদন্ত দীপংকর থের সড়কটির কাজ সম্পন্ন হওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানান, রাংগুনিয়ার কৃতি সন্তান রাংগুনিয়া হতে নির্বাচিত সাংসদ তথ্য মন্ত্রী ড: হাছান মাহামুদ কে।
তিনি জানান, এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (রক্ষনাবেক্ষন) বিপুল চন্দ্র বনিক এবং তাঁর ছোট ভাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব দীলিপ কুমার বনিক সড়কটি নির্মানে অকৃত্রিম সহযোগিতা করেছেন।
এইছাড়া এলজিইডি চট্রগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ওয়াহিদুজ্জামান, রাংগুনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী দিদারুল আলম, নির্মানকারী প্রতিষ্ঠানের মো: ইসহাক, মো: বেলাল, মো: সুমন, বিহারের আবাসিক ভিক্ষু ও শ্রামণ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সড়কটি পাকা করণে সহযোগিতার হাস প্রসারিত করেছেন।
বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ বড়ুয়া জুয়েল, এলাকাবাসী ধর্মপাল বড়ুয়া খোকন, বাদল বড়ুয়া, ছোটন বড়ুয়া,দীপক বড়ুয়া এবং লিটন বড়ুয়া সহ এলাকাবাসী সরকারের নিকট সড়কটি নির্মানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
১১নং চন্দ্রঘোনা কদমতলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য স্বরণ বড়ুয়া সড়কটি নির্মাণে রাংগুনিয়া হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য তথ্য মন্ত্রী ড: হাছান মাহমুদ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।