প্রকাশিত: 02/07/2020
শিক্ষা শান্তি প্রগতি এই মন্ত্রকে ধারণ করে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজ নিজ ভবিষ্যত স্বপ্নকে লক্ষবস্তু করে পড়াশোনায় মনোযোগী হবে এবং বই খাতা কলম সহপাঠী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রাণের স্পন্দন ও সাথী হিসেবে ব্যবহার করে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে, ছেলেমেয়েদের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা থাকে সব পিতা-মাতার। তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে সমাজ ও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও উন্নয়নে অনেক কিছুই চাওয়া পাওয়ার আছে কারন সমাজ ও দেশ তরুণদের সুন্দর বেড়ে ওঠার ব্যপারে ও মৌলিক অধিকার পেতে অনেক ক্ষেত্রেই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই, সময় ও সুযোগকে নষ্ট না করে প্রতিটি তরুণ শিক্ষার্থীকে নিজের ও বাবা-মার সপ্ন পুরণের জন্য এবং সমাজ ও দেশের প্রতি দায়িত্বশীল ভুমিকা রাখার প্রত্যাশা থেকে নিয়মিত অধ্যয়ন ও পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে।
ছাত্রছাত্রী বা শিক্ষার্থীরা যেহেতু দেশের ও সমাজের অনেক বড় একটি অংশ, তাই এই বৃহৎ অংশকে বিভিন্ন কুচক্রী মহল ও অপরাধ চক্র কৌশলে ব্যবহার করে লাভবান হবার স্বপ্ন দেখে ও অপব্যবহারের মাধ্যমে সামাজিক অনিয়ম ও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে।
কুচক্রী মহল ও অপরাধ চক্রের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীরা সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি ও যুবসমাজ নষ্টে বিশেষ ভুমিকা রাখে। ছোট বড় সব ধরনের মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশলে সহজেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদকের ভয়াল সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়। নিজেদের ছোট ও তরুণ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই সব মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশলে কৌতুহলী শিক্ষার্থীদেরকে প্রথমে ভয়াল সব মাদকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং ধীরে ধীরে তাদের মাদক সেবনে বাধ্য করে ফেলে। পান, সিগারেট, গাজা সহ অন্যান্য সহজলভ্য মাদকের মাধ্যমে সংক্রমণ শুরু হয় এবং শিক্ষার্থীদের সহপাঠী ও বৃহৎ অংশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পরে। যারা মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত তারা লোভনীয় প্ররোচনা, সহযোগিতা ও কুসংস্কার ছড়ানোর মাধ্যমে তরুণদের মাদক গ্রহণে ব্যস্ত রাখে।
মাদকে সংক্রমিত ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ায় অমনোযোগী হতে থাকে এবং বাবা-মার কথার অবাধ্য হয়ে পরে। পরিবারে ও সমাজে ছেলেমেয়েদের সুন্দর ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং সঠিক নির্দেশনার অভাবে বাধ্য হয়ে অনেকেই ছোট বড় অপরাধ চক্রের সাথে যুক্ত হয়। অভিযুক্ত অনেক মাদক সংক্রমিত অপরাধীরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে ব্যর্থ হয়। একজন তরুনের সুন্দর স্বাভাবিক জীবন নষ্ট হওয়ার পিছনে মাদক ব্যবসায়ীদের যেমন বড় ভুমিকা থাকে তেমনি তরুনরা নিজেও অসচেতনতা ও কুসংস্কারে অন্ধ হয়ে কৌতুহলের বশবর্তী হয়ে অপরাধ করে।
আজকের তরুন প্রজন্ম আগামীর ভবিষ্যত। এই তরুন প্রজন্মকে মাদক ও মাদক ব্যবসায়ীদের ভয়ানক চক্রান্ত ও সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে প্রত্যেক স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনকে এগিয়ে এসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের উদ্যোগে তরুণদের ও অবিভাবকদের সম্পৃক্ত করে যথাযথ সচেতনতা মূলক কার্যক্রম চালাতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম বন্ধ করতে প্রয়োজনে অবিভাবক, শিক্ষার্থী, সচেতন নাগরিকদের নিয়ে মাদক মুক্ত নীরাপদ জীবন ঐক্য কমিটি করতে হবে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের হাতে ধরিয়ে দিতে হবে।