অনাহারে জীবন যাপন করতেছে নন্দাখালীর ছুরত আলম।

অনাহারে জীবন যাপন করতেছে নন্দাখালীর ছুরত আলম।

কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নর নন্দা খালী বড় পাড়ার তিন নাম্বার ওয়ার্ডের , ছুরত আলম (৬৫)বয়স পিতা মৃত আজিজুর রহমান এই নামের ব্যক্তির অনাহারে জীবন যাপন করতে দেখা গেছে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন হচ্ছে ক্ষুধার্ত মুক্ত বাংলাদেশ করা, কিন্তু আজ এই ব্যক্তি সরকারের অনুদান থেকে বঞ্চিত কেন, যারা সরকারের অনুদান পাওয়ার সঠিক যোগ্য ব্যক্তি তারা অনুদান পাইনা। ছুরত আলমের আজ কিছুই নেই, না খেয়ে অনাহারে বেঁচে থাকা কত যে কষ্ট কর সেটা একমাত্র সেই বুঝবে যে ভাত কাপড়ের কষ্ট পেয়েছে । দুই বেলা দুই মুঠো ভাত খাওয়ার জন্য কতটা নাই কষ্ট করে মানুষ, তার তিন ছেলে এক মেয়ে, বড় ছেলে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি চলে জান, মেজ ছেলে বর্তমান পাগল সেই কিছু করতে পারে না । তার ছোট ছেলেটি ব্রিজ থেকে পড়ে তার শরীরের অনেক অঙ্গ ভেঙে যায়। তার চিকিৎসার জন্য জীবনের শেষ সম্বল টা বিক্রি করে দিয়ে ছেলের চিকিৎসা করান। এই বিপদের সময় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি, তার বিষয় নিয়ে এলাকার মেম্বারের কাছে গেলে, মেম্বার থেকেও কোনো সহযোগিতা পাইনি বলে দাবি করেন ছুরত আলম, সে অনেকদিন আগে পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানের সহযোগিতা সাইলেন ছুরত আলম। সেখান থেকেও কিছু পায়নি বলে দাবি করে, অপেক্ষার দিন তো তার শেষ হয় না, এমন সময় তার স্ত্রী কুছসুমা বেগমের( ৫৫)অসুস্থ হয়ে পড়েন, এখনো তার চিকিৎসা করাতে পারেনি বলেন ছুরত আলম, সরকারের অনেক অনুদান আছে, সেখান থেকেও একটা অনুদান পাইলে বেঁচে যায় তাদের জীবন, বিগত তিন চার বছর ধরে এমন কষ্টের আছে বলে দাবি করলেন ছুরত আলম, সেই সরকারের অনুদান থেকে বঞ্চিত কেন সে তো সরকারি অনুদান পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তির মধ্যে একজন, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ রইলো আপনারা ছুরত আলমের বিষয়টা জানলে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে বেঁচে যাবে কয়েকটি জীবন। মানুষ মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে মহান আল্লাহ পাক নিজেই খুশি হয়ে যান, আসুন আমরা সবাই মিলে ছুরত আলেমের মত হাজারো কষ্টে থাকা মানুষদের এলাকার আনাচে-কানাচে আছে কিনা খুঁজে বের করে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াই ।

আরও পড়ুন

×