প্রকাশিত: 13/07/2020
ঝিনাইদহের শৈলকুপা কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার কর্মচারীদের এমপিও ভুক্তির জন্য নীতিমালা বহির্ভুত ত্রুটিপুর্ন কাগজ পাঠানোর গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
এই কাজে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অবৈধ লেনদেন এবং পরস্পরের যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে লিখিত এক অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শপ এ্যসিসটেন্ট পদে প্রথম নিয়োগ পান আতিকুর রহমান ডাবলু।
তাকে বাদ দিয়ে ল্যাব এ্যসিসটেন্ট পদে লুৎফর রহমান ও একই পদে গিয়াস উদ্দীনকে এমপিও ভুক্তির জন্য সুপারিশ করে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে লুৎফর রহমানের বয়স নিয়োগকালীন সময়ে ১৮ বছর ছিল না।
অন্যদিকে গিয়াস উদ্দীনের জাল সনদ ও বয়স না হওয়ার পরও তাকে এমপিও ভুক্তির সুপারিশ করায় বৈধ ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত আতিকুর রহমান ডাবলু অবিচার ও ষঢ়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ২০০৪ সালের জনবল কাঠামোতে একটি স্কুলের কারীগরি শাখায় দুইটি শপ, ল্যাব বা কম্পিউটার ল্যাব এ্যসিসট্যন্ট পদে নিয়োগ করা যাবে। সে হিসেবে কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আতিকুর রহমান ডাবলু ও লুৎফর রহমানের নিয়োগ পর্যন্ত বৈধ ছিল।
পরে অর্থের বিনিময়ে ল্যাব এ্যসিসটেন্ট পদে গিয়াস উদ্দীনকে নিয়োগ দেয় কমিটি, যা জনবল নীতিমালা বর্হিভুত। দুর্নীতি ও অনিয়ম এখানেই থেকে নেই।
গিয়াস উদ্দীনের নিয়োগের টেবুলেশন সিটে কাটাকাটি রয়েছে। সেই সিটে শৈলকপা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাক্ষরও নেই। গিয়াস উদ্দীনকে বিধি বহির্ভুত ভাবে এমপিও ভুক্তির সুপারিশ করে পাঠিয়ে স্কুলের সভাপতি তৈয়ব খান ও জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব দুর্নীতির সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন।
এদিকে ২০২০ সালের ১৩ মে কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর এক অফিস আদেশে লুৎফর রহমান ও গিয়াস উদ্দীনের কাগজপত্র ত্রুটি পেয়ে ফেরৎ দিয়েছেন। ওই আদেশে জেলা শিক্ষা অফিসারকে যাচায়ের জন্য বলা হলেও তিনি তা না করে আবোরো একই ত্রুটিপুর্ন কাগজ গারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করেছেন।
এ ব্যাপারে স্কুলের সভাপতি তৈয়ব খান জানান, এমপিও ভুক্তির কাগজ পাঠাতে কোন ভুল নেই। যদি থাকেও তবে সেটা কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর দেখবেন।
তিনি বলেন আতিকুর রহমান ডাবলু অন্য ট্রেডে নিয়োগ। তাই তার এমপিও ভুক্তির আবেদন করা হয়নি। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, আমি স্কুল সভাপতির বাইরে যেতে পারি না।
তিনি যেটা নির্দেশ করেছেন আমি সেটাই করতে বাধ্য হয়েছি। জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছি কেও প্রমান দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, যে সব শিক্ষক কর্মচারীর এমপিও ভুক্তির কাগজ পাঠানো হয়েছে তা সবই আইন মেনে করা হয়েছে। বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার চালানোর জন্য একটি মহল এহেন মিথ্যা অভিযোগ তুলছে বলে তিনি মনে করেন।