প্রকাশিত: 22/07/2020
ঝিনাইদহে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির চাল নিয়ে দুর্নীতি-অনিয়ম করার দায়ে দুইজন ডিলারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে এক আইডি দিয়ে একাধিক ব্যক্তির নামে চাল উঠিয়ে বিক্রি করাসহ নানা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সদরের মধুহাটী ইউনিয়নের ডিলার মহামায়া গ্রামের জানেব মন্ডলের ছেলে জিয়াউর রহমান নয়ন ও নওদাপাড়া গ্রামের সবদার আলীর ছেলে ইমদাদুল হককে বরখাস্ত করা হয়। বুধবার ঝিনাইদহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে এ খবর নিশ্চিত করা হয়। সুত্র জানায়, জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেওয়া নির্দেশনা মতে মঙ্গলবার দুই ডিলারের বরখাস্তের চিঠি তাদের হাতে পৌছে দেওয়া হয়েছে। সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও খাদ্য বিভাগ মামলা করতেও পারে বলে সুত্রটি জানায়। জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকার বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটী ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির চাল বিতরণে দুর্নীতি, অনিয়ম ও জালিয়াতির লিখিত অভিযোগ পান ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। অভিযোগ তদন্তে তিনি সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতকে দায়িত্ব দেন। সরেজমিন তদন্ত করে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির দুই ডিলার ইমদাদুল হক এবং জিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সাক্ষি দেন ভুক্তভোগীরা। তদন্তকালে একই জাতীয় পরিচয় পত্রের (মৃত ব্যক্তিসহ) বিপরীতে একাধিক ব্যক্তির চাল উত্তোলন, একজনের কার্ডের চাল অন্যজনকে প্রদান ও ওজনে কম দেওয়ার সত্যতা পান সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত। মধুহাটী ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির চাল বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগ সত্য বলে গত ১৫ জুন জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। অন্যদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদরুদোজা শুভ সদর উপজেলা কৃষি অফিস দিয়েও নিরোপেক্ষ তদন্ত করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান। দুই অভিযোগেই মধুহাটী ইউনিয়নের ৮ জনপ্রতিনিধি ও দুই ডিলার ফেঁসে গেছেন। এ বিষয়ে নিয়ে ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফ উজ জামান বলেন, জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে দায়ী জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রানলয়ে পাঠিয়েছি। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই তাদের সাময়িক বরখাস্তের চিঠি পৌছে যাবে।