প্রকাশিত: 24/07/2020
লক্ষীপুর পৌরসভার দক্ষিণ পশ্চিম লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিক উল্যার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। লক্ষীপুর পৌরসভার ১৫নং ওর্য়াড়ের দক্ষিণ পশ্চিম লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিক উল্যাহ ১২ হাজার ৫০০ টাকার বিনিময়ে স্কুলের দুইটি টয়লেট পাশের বায়তুন নুর জামে মসজিদের নিকট আজীবন ব্যাবহার করার জন্য অনুমতি দেয়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মসজিদ কমিটির সাথে একটি লিখিত চুক্তিপত্রও করেন। চুক্তিপত্র অনুযায়ী, ২৪ মে রবিবার ২০১৫ ইং থেকে মসজিদের মুসল্লিগন স্কুলের টয়লেট দুটি ব্যাবহার করে আসছে। স্কুল চলাকালীন সময়ে বাহিরের বহিরাগত বিভিন্ন লোকজন স্কুলের টয়লেটটি ব্যাবহার করার কারণে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের টয়লেট ব্যাবহার করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। নাম প্রকাশে অন ইচ্ছুক পঞ্চম শ্রেণীর কয়েক জন ছাত্রী বলেন, বাহিরের লোকজন টয়লেট টি ব্যাবহার কারার কারণে আমরা স্কুলের টয়লেট ব্যাবহার করতে অসুবিধা হয়। তাই আমরা অনেক সময় প্রয়োজন হলেও স্কুলে টয়লেটে যায় না। লেজার প্রিরিয়ডে এবং ছুটির পরে বাড়িতে গিয়ে টয়লেট ব্যাবহার করি। এ নিয়ে র্দীঘ দিন থেকে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে বায়তুন নুর জামে মসজিদের সভাপতি বলেন, স্কুলের দুটি টয়লেট মসজিদের মুসল্লিদের ব্যবহারের জন্য প্রধান শিক্ষকের সাথে ১২ হাজার ৫০০ টাকার বিনিময়ে লিখিত চুক্তি করেই মসজিদ স্কুলের টয়লেট ব্যাবহার করছে । এবিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি মসজিদের টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। প্রধান শিক্ষক বলেন টাকা আমি নিয়েছি সত্য। তবে যে টাকা নিয়েছি সেই টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের টয়লেটের সামনে গর্ত পূরণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এটা অনেক আগের ঘটনা। জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাসিনা আক্তার বলেন, আমি বিষয়টি এক সহকারি শিক্ষকের কাছ থেকে শুনেছি। বিষয় টি তদন্ত করে আইনগত প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, বিষয় টি যেহেতু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তাই প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ব্যবস্তা গ্রহন করবে। আর তারা ব্যবস্থ’া গ্রহন না করলে আমি পরর্বতীতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।