ডিমলায় তিস্তা পারের বানভাসীদের কথা ত্রাণ চাইনা বাঁধ চাই

ডিমলায় তিস্তা পারের বানভাসীদের কথা ত্রাণ চাইনা বাঁধ চাই

বন্যায় তিস্তা নদীগর্ভে বিলিন হওয়া বসত ভিটা, জমি জমা, আবাদি ফসল, গবাদি পশু সহ অপুরনীয় ক্ষতি সাধিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন নীলফামারী জেলা প্রসাশক হাফিজুর রহমান চৌধুরী।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৭নং খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ি মৌজা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা প্রদর্শনকালে এলাকাবাসির প্রানের দাবী আমরা ভাত চাইনা বাধঁ চাই, এখানে সকালে যাদের অনেক ছিল বিকালে তিস্তা নদী সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে সর্বহারা করেছে তাই আমরা কাঁদতে চাইনা বাঁচতে চাই।

৩১শে জুলাই (শুক্রবার) সকালে ঝুনাগাছ চাপানী ও খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাঁধ এলাকার বসত ভিটা হারা ৩৫টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় মান সম্মত ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন এবং পূর্ব বাইশ পুকুর জামে মসজিদে ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার আশ্বস্ত করেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী।

বিতরণ কালে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে“ ত্রাণ চাইনা স্থায়ী করন বাঁধ চাই” ঐ সব কথা বলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক সুবীধা ভোগীদের উদ্দেশ্য বলেন চির স্থায়ী বাঁধ নির্মানে যথাযথ ব্যবস্থা চলছে। ইনশাআল্লাহ আগামী ২০২১সাল নাগাদ এ বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু হবে,তখন আর এ কষ্টের দিন থাকবেনা। তিনি আরো বলেন, দেশে চলমান অদৃশ্য করোনা ভাইরাস অপরদিকে প্রাকৃতিক দূর্যোগ।

এগুলোকে ধর্য্য সহকারে সহ্য করতে হবে। তিনি আরো বলেন,আসুন সকলে মিলে সেই দয়াময় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন সবাইকে ত্যাগের এই কোরবানী মধ্য দিয়ে আমাদের ক্ষমা করে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়শ্রী রানী রায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা মীর মোঃ আল কামাহ্ তমাল,ডালিয়াপানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, ঝুনাগাছ চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান, খালিশা চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার ও ডালিয়া পওর শাখা কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান মাসুদ, খালিশা চাপানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আক্তারুজ্জামান আকুল চৌধুরী প্রমূখ।

আরও পড়ুন

×