প্রকাশিত: 29/08/2020
স্বামী ঢাকায় থাকার সুবাদে স্ত্রী জেসমিন চুটিয়ে প্রেম ও দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রতিবেশি যুবক আকুল মন্ডলের সাথে। অবশেষে ভাতিজার হাতে ধরা পড়ে তালাক প্রাপ্ত হতে হয়েছে জেসমিনকে। আর প্রেমিক আকুল মন্ডলের ঠাই হয়েছে শ্রীঘরে। লম্পট আকুল চাঁদপুর গ্রামের শহিদুল মন্ডলের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে। এই গ্রামের বাদশা মিয়া চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকতেন। দুই সন্তানের জননী স্ত্রী জেসমিন আক্তার একই গ্রামের আকুল মন্ডলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর আগে ধরা পড়লেও সন্তানদের কথা ভেবে বাদশা মিয়া স্ত্রীকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। সোমবার (২৩ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে প্রেমিক আকুল মন্ডল জেসমিনের ঘরে প্রবেশ করে। বাদশার ভাতিজা সাজেদুল ইসলাম বাড়ির কাছেই বসে ফেসবুক চালাচ্ছিল। লম্পট আকুলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখে অন্যান্য যুবকদের সঙ্গে নিয়ে তাকে ধরতে চাচার বাড়িতে প্রবেশ করে। টের পেয়ে আকুলকে গোয়াল ঘরের মধ্যে একটি বস্তায় ঢুকিয়ে দেয় জেসমিন। সেখান থেকেই আকুলকে পাকড়াও করে মারধর করে হরিণাকুন্ডু পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। খবর পেয়ে রাতেই ঢাকা থেকে বাড়ির পথে রওনা দেন বাদশা মিয়া। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ফিরে দুই সন্তানের জননী স্ত্রী জেসমিনকে তালাক দিয়ে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। জেসমিন সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের প্রতাবপুর গ্রামের আবু বকরের মেয়ে। এ ঘটনা নিয়ে চাঁদপুর গ্রাম জুড়ে ছি ছি রব পড়ে গেছে। মানুষের মাঝেও দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য। চাঁদপুর গ্রামের মোঃ জলিল সেখে'র ছেলে বাদশা মিয়ে মঙ্গলবার বিকালে জানান, ১০/১৫ বছর হলো চাকরির সুবাদে তিনি ঢাকা থাকেন। প্রতি দুই মাস পর পর আমি বাড়িতে আসি। করোনার কারনে একটু কম আসি। তিনি বলেন, অতি কষ্টের মধ্যে থেকেও সংসারে কোন অভাব আমি বুঝতে দেইনি। স্ত্রীকে বলেছিলাম আর কয়েকটা দিন কষ্ট করে থাক কিছু টাকা জোগাড় করে বাড়িতে এসে একটি ইজিবাইক কিনে চালাবো। ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমি ওর সাথে সংসারটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু যখন পরিবর্তন হলইনা তখন তাকে ডিভোর্স দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা। চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাদের দুটি সন্তানের কথা বিবেচনা করে সংসার টেকানোর জন্য বলি। কিন্তু সম্ভব হয়নি। আমার আসার আগেই কাজী ডেকে স্ত্রী জেসমিনকে ডিভোর্স দিয়েছেন বাদশা। এদিকে বাদশার শশুর বাক্কা মিয়া বলেন, তার মেয়েকে জোর পূর্বক ডিভোর্স দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে চরপাড়া ক্যাম্পের আইসি আমিরুল ইসলাম বলেন, আকুল মন্ডল নামে একজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুধ্যে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।