প্রকাশিত: 31/08/2020
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ছোট কাশীপুর গ্রামে বিয়ের ফাঁদে ফেলে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ভিডিও চিত্র বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে থেকে স্ত্রীর দাবিতে ঐ যুবকের বাড়িতে অবস্থান করছে সেই স্কুল ছাত্রী।
এদিকে ঐ বাড়িতে তালা মেরে পালিয়েছে যুবকের স্বজনরা। অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে কোন পক্ষই এখনো থানায় কোন অভিযোগ করেনি।
স্কুল ছাত্রী জানায়, তাদের গ্রামের মিঠুন দাস (২৫) পাটকেলঘাটা বাজারে একটি হার্ডওয়ার দোকানের কর্মচারী।দেড় বছর আগে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্থানীয় রাধা গোবিন্দ মন্দিরে ঠাকুরকে সাক্ষী রেখে মিঠুন তার কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিয়ে স্ত্রী মর্যাদা দেয়।
মেয়ের পিতা জানান, ছাত্রীকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে রাজী না হওয়ায় তারা বিষয়টি স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের জানান। বিষয়টি নিয়ে গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্থানীয় রাধাগোবিন্দ মন্দিরে মিঠুনের পরিবারকে ডাকেন এলাকাবাসী। মেয়ে ইউএনডিপির কর্মচারী চম্পা দাস বাড়িতে না থাকায় তারা এক সপ্তাহের সময় চান। ২৪ আগস্ট অনিলের বাড়িতে ও আর এক দফা বসাবাসী হয়।
মিঠুনের পরিবার বিষয়টি মেনে নিতে রাজী না হওয়ায় বুধবার সন্ধ্যায় ঐ ছাত্রী নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এরমধ্যে ঐ ছাত্রী গত শুক্রবার এপেনডিসাইটিস অপারেশন হয় পাটকেলঘাটা লোকনাথ ক্লিনিকে। ২৬ আগস্ট তার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ২৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে তালা লাগিয়ে মিঠুন দাস, তার বাবা মৃত্যুঞ্জয় দাসসহ পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র চলে যায়। যে কারণে ২৮ আগস্টের সালিশ বৈঠক না হওয়ায় রাত ৯টার দিকে ঐ ছাত্রী স্ত্রীর দাবিতে মিঠুনদের বাড়ির বারান্দায় অবস্থান করছে।