প্রকাশিত: 03/09/2020
ঝিনাইদহে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ করছেন ৯ জন স্বেচ্ছাসেবক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। তারা পান না কোন সরকারী সুযোগ সুবিধা। এমনকি দেওয়া হয় না কোন সম্মানী বা ভাতা। স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের দিয়ে ঝুঁকিপুর্ণ কাজ করালেও নিয়োগ দেওয়ার কোন ব্যবস্থাই করছেন না। এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট স্বেচ্ছাসেবক সাব্বির রহমান সাকি জানান, করোনা শুরুর পর থেকে জেলার সদর হাসপাতালে করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন রাশেদুল ইসলাম, সাব্বির রহমান, লুনা খাতুন ও হাবিবুর রহমান। এদের মধ্যে হাবিবুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। শৈলকুপায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে সেচ্ছায় কাজ করছেন শশি ও মেহেরাব হোসেন। এছাড়া কালীগঞ্জে আব্দুল আওয়াল, হরিণাকুন্ডুতে তৌহিদ ও কোটচাঁদপুরে সোহেল পারভেজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও তাদের নিয়োগ প্রদানের বিষয়টি ঝুলে আছে।
তাদের অভিযোগ, দেশের অন্যান্য স্থানে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট স্বেচ্ছাসেবিদের সরকার থেকে নিয়োগ দেওয়া হলেও ঝিনাইদহে নিয়োগ না দেওয়ায় হতাশ তারা। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ হারুন অর রশিদ জানান, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ নিলে এসব স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যাপারে সুপারিশ করা হবে বলে জানান।
এ ব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ রাশেদা সুলতানা জানান, প্রথম দিকে জরুরী ভিত্তিত্বে আইইডিসিআর তালিকা চেয়েছিল। তখন তারা ঢাকা থেকেই কিছু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) স্থায়ীকরণ করেছে। তিনি বলেন, এখন যারা সেচ্ছাসেবী হিসেবে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে কাজ করছেন পরবর্তীতে নিয়োগ হলে তারাই অগ্রাধিকার পাবেন।