কমলনগরের ফজুমিয়ারহাট চৌরাস্তা মোড়ে তীব্র যানজট

প্রকাশিত: 05/09/2020

নাসির মাহমুদ

কমলনগরের ফজুমিয়ারহাট চৌরাস্তা মোড়ে তীব্র যানজট

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ফজুমিয়ারহাট বাজারে তীব্র যানজট চলছে। চৌরাস্তা মোড় থেকে পুর্ব বাজার হাসপাতাল পর্যন্ত , হাইস্কুল রোড,প্রাইমারি স্কুল ও ফজুমিয়ারহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন যানজট লেগেই থাকে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ যানজট চলে।এবং ইচ্ছেমতো এলোপাতাড়িভাবে যানবাহন চলাচলের কারনে চারদিকের সড়কে ও বাজারে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। দ্বীর্ঘ যানজটে আটকে থাকে পরিবহনের যাত্রী ও চালকেরা। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে তারা।সড়কে যানজট পরিস্থিতিতে হেঁটে চলাটাও মুশকিল হচ্ছে।
বাজারের ব্যবসায়ী ক্রেতা-বিক্রেতা ও চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। রাস্তার দু-পাশে গাড়ী রাখার কারনে মানুষের হাঁটাচলা করার জায়গা ও পাওয়া যাচ্ছেনা।গাড়ীর ড্রাইভাররা যে যার মতে করে ইচ্ছে মতো গাড়ী রাখছে। রাস্তার দু-পাশে গাড়ী রেখে চোরাস্তার মুখ বন্দ্ব করে রাখেন তারা। এতে এক অসহনীয় অবস্হা বিরাজ করছে। সিমাহীন ভোগান্তির শিকার হয়ে মানুষ নানা সমালোচনা করে বেড়ান।এ যেন এক অভিবাবকহীন বাজারটি। নেই কোন তদারকি বা দেখাশুনা।
যানবাহন আটকে থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে অনেক যাত্রী গাড়ী থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেন। বেশি সমস্যায় পড়েন বয়স্ক ব্যক্তি, নারী, শিশু,শিক্ষার্থী ও রোগীরা।
তারা অভিযোগ করে বলেন,বাজারের মোড় ও চার দিকের রাস্তাগুলোতে একদিকে গাড়ির যানজট, অন্যদিকে স্থবির পরিস্থিতিতে যানবাহন চালকরাও নিয়ম না মানায় অবস্থা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। আর নিয়ম মেনে না চলার কারণে সৃষ্ট যানজট মোকাবেলার বলি সাধারণ মানুষ। অনেকেই বলেন, শৃঙ্খলা না মানায় যানজটের একটি বড় কারণ।মটরসাইকেল,সিএনজি,রিকশা ও অটোরিকশা যেখানে-সেখানে দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করা,রাস্তা দখল করেও বসানো হয় গাড়ী। এ ছাড়া গাড়ীগুলো রাস্তার ওপরই পার্কিং করে রাখা হয়।
বর্তমানে জনবহুল এ বাজারে কোন নির্বাচিত কমিটি না থাকায় সম্পুর্ন খামখেয়ালিপনায় চলছে।উপজেলা প্রশাসনের কোন প্রকার হস্তক্ষেপ না থাকায় বাজারটি এখন অভিবাবক শুন্য। বাজারের এমন দুরাবস্তায় উদ্বীগ্ন হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ী ক্রেতা-বিক্রেতারা।ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন? বাজারের মাসিক আয় যায় কোথায়? উপজেলার ফজুমিয়ারহাট বাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এটি। চরলরেন্স,তোরাবগন্জ ও হাজিরহাট ইউনিয়নের একাংশ ও চরকাদিরা ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র এই বাজারটি।
এখানে রয়েছে একটি ইউনিয়ন পরিষদ,ইউনিয়ন ভূমি অফিস,একটি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ,একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি সরকারী আলিম মাদ্রাসা সহ ৪/৫ কওমি মাদরাসা,৩টি ডিজিটাল ল্যাব,২ টি এজেন্ট ব্যাংক, ও বেসরকারি কয়েকটি এনজিও অফিসের শাখা। চরকাদিরা ইউনিয়নের চরবসু বটতলী, করুনানগর,চরবাদাম জমিদারহাট, আলেকজান্ডার, হাজিরহাট বাদামতলি, রববজার, ইসলামগন্জ,রহিমগন্জ,পার্শ্ববর্তী এলাকার- ইমানআলী মার্কেট, বুদ্ধিনগর শান্তিরহাট সহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এ বাজারে।অন্যদিকে নদীভাংগা লোকজন এ এলাকায় বসতি গড়ে তুলে ফজুমিয়ারহাট হয়ে উঠেছে একটি বাণিজ্যক কেন্দ্র।
ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি এ বাজারে বেশ জমজমাট। বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি অফিস থাকায় লোকজন নানা কাজে ফজুমিয়ারহাটে আসতে হয়।অন্যদিকে নোয়াখালীর মাইজদী,সোনাপুর, চৌমুহনী,ও লক্ষ্মীপুর,রামগতি সহ দেশের বিভিন্ন স্হানে যাতায়াতের জন্য এটি একটি সহজ পথ হওয়ায় দুরদুরান্ত থেকে নানা শ্রেনী পেশার মানুষ এ বাজার আসা-যাওয়া করতে হয়।চলে নানা প্রকারের গাড়ী।সিএনজি,পিক-আপ, রিকশা,অটোরিকশা,মটরসাইকেল সহ বিভিন্ন গাড়ী যাতায়ত করে থাকে ফজুমিয়ারহাটের উপর দিয়েই।কিন্ত বাজারের যে অবস্হা, তাতে মনে হয় বাজারটি সম্পুর্ন অভিবাবকহীন।নেই পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্হা,অন্যদিকে যানজটে অতিষ্ঠিত হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ীরা।বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।

আরও পড়ুন

×